মোঃ মোতাহার হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের উত্তর শাসলা পিয়ালা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় খেতের মাঝখানে একটি টিনের ঘর। চার দিক যেন ঘাস আর ঝাড় জঙ্গলে ভরা। ছাত্র-ছাত্রীর নেই কোন বালাই। দেখে মনে হয় স্কুলতো নয়, যেন ভ‚তের বাড়ী। আর এই স্কুলটি জাতীয়করণের নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ও এক দালালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে উত্তর শাসলা পিয়ালা বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০০৫ সালে সরকারি তালিকা ভ‚ক্ত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসেন শহিদুল ইসলাম। তিনি জাতীয়করনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসেন। কিন্তু এর মধ্যে হঠাৎ করে একজন লোক তার নাম রাজু আহম্মেদ পেশায় আইনজীবী। মুক্তিযোদ্ধার ছেলে পরিচয় দিয়ে সভাপতি ও স্থানীয়দের জানান স্কুলটি তার হাতে ছেড়ে দিলে এক সপ্তাহের মধ্যে জাতীয়করণ করে দিবেন। এলাকার মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে সভাপতিকে হাত করিয়ে কৌশলে প্রধান শিক্ষককে বাদ দেয়। অপরদিকে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর থেকে ওই আইনজীবীকে আর দেখতে পাওয়া যায় না এলাকায় এবং স্কুলটি জাতীয়করণ হয়নি বলে জানান তারা। ২০০২ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক আঞ্জুয়ারা বেগম সুখের আশায় স্কুলের বেতন-ভাতা পাবেন বলে বাড়ির ভিটে-মাটি বিক্রী করে সভাপতিকে ৫ লাখ দেন, একই কথা বলেন আরেক শিক্ষক লিলি আক্তার। তিনি আরো বলেন আমরা দীর্ঘ দিন ধরে টাকা-পয়সা দিয়ে বিনা বেতনে শ্রম দিয়ে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের না বলে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্বাস আলী জানান স্কুলের যারা শিক্ষক ছিল তারা নিয়মিত স্কুলে আসতো না। ২০১৭ সালে রাজু আহম্মেদ নামে এক লোক (এলাকার জামাই) এসে জিজ্ঞাসা করে এখানে একটি স্কুল ছিল। স্কুলটি কি হলো ? উত্তরে সভাপতি বলেন বিচ্ছিন্ন ভাবে পড়ে আছে। এরপর রাজু আহম্মেদ বলেন আমাকে একটু সুযোগ দিলে স্কুলটি করে দিতে পারবো। শর্ত হিসেবে তার স্ত্রীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। এই কথা বলে রাজু আহম্মেদ নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয় এবং সভাপতিকে স্বাক্ষর দিতে বলে। রাজুর কথা মতো সভাপতি স্বাক্ষর দেন। এ প্রসঙ্গে আইনজীবী রাজু আহম্মেদের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাজ্জাদ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন ওই স্কুলের মা সমাবেশে আমাকে দাওয়াত দিয়েছিল। আমি সেখানে গিয়েছিলাম। শিক্ষক নিয়োগের নামে আর্থিক অনিয়ম হয়েছে এ বিষয়টি জানা নেই