রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে রাকসু আন্দোলন মঞ্চ। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ৮টি ছাত্রসংগঠনের পক্ষ থেকে তারা এ স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর রাকসু নির্বাচনের কোনো উদ্যোগ না নিলেও রাকসুর নাম ব্যবহার করে সেটির তহবিলের অর্থ খরচ করে ক্রীড়া উৎসবের আয়োজন করেছে। নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধির মতামত ছাড়াই রাকসুর তহবিল ব্যবহার করা সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং অগণতান্ত্রিক। একই সাথে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত রাকসুর তহবিল ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। প্রায় তিন দশক যাবৎ বন্ধ রয়েছে রাকসু নির্বাচন। নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া সিনেট ও সিন্ডিকেটের কার্যক্রম কোনো ক্রমেই বৈধ হতে পারে না।’
আরও বলা হয়, ‘কয়েক বছর ধরেই রাকসু নির্বাচনের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি চলছে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত প্রশাসন রাকসু সংলাপ কমিটি গঠন করে ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে সংলাপ সম্পন্ন করেন। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে তারা ব্যর্থ হয়। গত ১৭ই ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সকল রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণে উন্মুক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অংশগ্রহণকারী সকল সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ রাকসু নির্বাচনের বিষয়ে একমত পোষণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে, ৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিজয়ের মাসেই রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানানো হয়।’
রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবির পক্ষে ৮টি ছাত্র সংগঠন হলো- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, নাগরিক ছাত্র ঐক্য, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিঠু, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহব্বত হোসেন মিলন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ খান, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।