দৌলতপুরে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে সরকারি খাল ভরাট

প্রকাশিত: ১০:০২ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২২

দৌলতপুরে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে সরকারি খাল ভরাট

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি মুরাদ খান :
সরকারি খাল অবৈধ দখলমুক্ত ও সচল করার লক্ষ্যে সরকারের নির্দেশনা থাকলেও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের চকহরিচরণ গ্রামে অর্ধশতাধিক বছরের পুরোনো খাল ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলা সরকারি গোডাউন সংলগ্ন অর্ধশতাধিক বছরের পুরোনো এই খালটি সরকারি প্রকল্পের নামে ভরাট করছে উপজেলা প্রশাসন। এ খালের মাধ্যমে এলাকার সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি ও রাস্তা-ঘাট জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পায়। খালটি ভরাট করা হলে স্থানীয় রাস্তা-ঘাট ও বাড়িঘরে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। এতে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। খালটি ভরাট বন্ধে স্থানীয়রা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানালেও বন্ধ হয়নি খাল ভরাটের কাজ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় নদীতে একাধিক অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দৌলতপুর উপজেলা সরকারি গোডাউন সংলগ্ন চকহরিচরণ এলাকায় অবস্থিত প্রায় আধা কিলোমিটার খালের মধ্যে প্রায় শতাধিক মিটার এলাকায় বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে।
ষাটোর্ধ্ব হাবিল নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমার জন্মের পর থেকেই এ খালটি দেখে আসছি। লিয়াকত আলী নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, আমার জন্মের আগে থেকেই এখানে খাল ছিল। বর্ষাকালে খালটি পানিতে ভরে যায়। এতে আমাদের অনেক উপকার হয়।
বাসনা বেগম নামের এক গৃহিণী জানান, এ খালটির মাধ্যমে বৃষ্টির সময় ও বর্ষাকালে এলাকার ময়লা আবর্জনা ধুয়ে মুছে যায়। খালটি ভরাট হয়ে গেলে আমরা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো।
খাল ভরাটের বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরুল হাসান বলেন, এটি একটি মরা খাল। মূল খালের সাথে বর্তমানে এর সংযোগ নেই। এখানে ভরাট করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি ঘর নির্মাণ করা হবে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, খাল ভরাটের কোন সুযোগ নেই। তবে সেটি খাল হিসেবে ব্যবহারের অনুপযোগী হলে সেটি অন্য কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest