তেঁতুলিয়ায় হাড় কাঁপা শীতে বসে নেয় খেটে খাওয়া মানুষ ও পাথর শ্রমিক,তাপমাত্রা ৬.৯ ডিগ্রি

প্রকাশিত: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২৩

তেঁতুলিয়ায় হাড় কাঁপা শীতে বসে নেয় খেটে খাওয়া মানুষ ও পাথর শ্রমিক,তাপমাত্রা ৬.৯ ডিগ্রি

জুলহাস উদ্দীন উপজেলা প্রতিনিধি :
৬.৯ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে উত্তরের সীমান্ত ঘেঁসা তেঁতুলিয়া। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে সোমবার সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছে ৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা তিনদিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের এ জনপদ। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা। শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে শুরু করে ছোটখাটো যানবাহন ভ্যান চালক মানুষগুলো। তীব্র শীতের প্রকোপে সকালে কাজে যেতে পারছেন না অনেকে। তবুও জীবিকার তাগিদে কেউ পাথর তুলতে, কেউ চা-বাগানে আবার কেউ দিনমজুরের কাজ করতে যাচ্ছেন। এসব মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য সরকার যে ত্রাণ দিয়েছে তা একেবারেই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

পাথর শ্রমিক ৬নং ইউনিয়নের নয়াবাড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলাম ,সাজ্জাদ আলী আমির হুসেন জানান,ঠান্ডায় নদীর পানি বরফের মত মনে হয়। তারপরেও আমাদের পাথরই জীবিকা। তাই কাজে বেড়িয়েছি। কদিন ধরে নদীর ঠান্ডা পানিতে কাজ করে জ্বর-সর্দিতে ভুগলাম। ক্ষুধার্ত পেটতো ঠান্ডা বুঝে না। কিন্তু পরিবারের কথা চিন্তা করে সকালেই পাথর তোলার সরঞ্জাম নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছি। একই কথা জানান কয়েকজন দিন মজুর ও নারী পাথর শ্রমিক।

শীতের কারণে পড়ালেখা স্থবির হয়ে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও। সকালে স্কুল শিক্ষার্থী তানিয়া, কাজল ও নাইমা খাতুন জানায়, কনকনে শীত। রাতে পড়তে পারি না শীতের কারণে। রাতে যেন তাপমাত্রা জিরোতে চলে আসে। সকালে কুয়াশা আর বাতাসের কারণে প্রাইভেট ও স্কুলে যাওয়াও কষ্ট হচ্ছে।

এদিকে শীতে প্রকোপে বেড়েছে নানান শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় ৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। যা সারাদেশের সর্বনিম্ন। ভোর ৬টায় ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এ তাপমাত্রায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। গতকাল সোমবার রেকর্ড হয়েছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। উত্তর-পূর্বকোণ থেকে ৩ নটিক্যাল গতিতে বয়ে যাওয়া হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest