ঢাকা ৩ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২৩
পারভেজ, বরিশাল প্রতিনিধিঃ
পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে ৩ ঘণ্টায় বরিশাল আসছে দূর পাল্লার বাসগুলো। ইতিমধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বরিশাল -ঢাকা নৌরুটের লঞ্চগুলোতে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে কমেছে দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ চলাচল। এ ছাড়া বড় লঞ্চগুলোতে প্রথম শ্রেণির কেবিন বুকিং ও নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে।
সোমবার বরিশাল লঞ্চঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে মাত্র ৩টি বিলাসবহুল লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। এগুলো হলো,পারাবাত ১১, সুন্দরবন-১৬ ও এমভি শুভরাজ। এসব লঞ্চে আগের মতো ভিড় চোখে পড়েনি। উল্লেখ্য গত রোববারও বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৩টি লঞ্চ ছেড়ে যায়।
কয়েক মাসের ব্যবধানে কমেছে লঞ্চ। ঢাকা-বরিশাল রুটে বর্তমানে মোট ২০ টি লঞ্চ চলাচল করছে। শিডিউল করে এসব লঞ্চ ঘাট থেকে ছেড়ে যায়।
লঞ্চের যাত্রীও কম। প্রথম শ্রেণির কেবিনের বুকিং অর্ধেকের ও নিচে নেমে এসেছে। এ ছাড়া আগে সিঙ্গেল কেবিন ১২০০ ও ডাবল কেবিন ২০০০ টাকা বিক্রি হতো তবে তা এখন কমে সিঙ্গেল কেবিন ৮০০ টাকা ও ডাবল কেবিন ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডেক টিকিট ৩০০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
এমভি পারাবাত ১১ লঞ্চের সুপারভাইজার মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখন এমনিতেই ডাল সিজন। তারপর পদ্মা সেতু চালু হয়েছে মানুষ এখন বাসে কিছুটা বেশি আসা-যাওয়া করবে। ১০৪টি কেবিনের মধ্যে মাত্র ৪০টি বুকিং হয়েছে।’
সুন্দরবন ১৬ লঞ্চের বুকিং ইনচার্জ আরাফাত হোসেন বলেন, ‘১৪০টি কেবিনের মধ্যে মাত্র ৬০টি বুক হয়েছে। এখন বোঝা যাচ্ছে পদ্মা সেতুর প্রভাবের কারণে যাত্রী কমার মূল কারন তবে আশা করি সৌখিন বরিশালের মানুষ লঞ্চেই যাবেন।
লঞ্চে যাতায়াত করা যাত্রী নুসরাত জাহান বলেন, এখন খুব সহজেই লঞ্চের কেবিনের টিকিট পাওয়া সম্ভব হচ্ছে, আগে টিকিট পেতে বেগ পেতে হতো একেকটা টিকিট যেনো সোনার হরিন ছিলো।
সড়কপথে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার স্বীকার হওয়ায় বর্তমানে নদী পথে যাত্রা নিরাপদ।লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলেন আশা করি আগের মতো নদী পথে যাত্রীর সমাগম হবে ইনশাআল্লাহ।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST