মোঃ মাঈনুল ইসলাম মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি:
সড়কের উপর সুপারি গাছের সাঁকো, গত একমাস পর্যন্ত সড়কটিতে যান-চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দুভোর্গে পড়েছে ওই এলাকার ৭ গ্রামের মানুষ। এ সড়কে বর্তমানে পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য সড়কের উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন এলাকাবাসী। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে শ্রীমন্ত নদীর স্রোতের তোড়ে সড়কটিা ভেঙ্গে পরিনত হয়েছে বিশাল গর্তের। উপজেলার মির্জাগঞ্জের কঠালতলী জি.সি পটয়াখালী-বেতাগী আরএসডি(থানা ব্রীজ) রোড ভায়া মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সংযোগ সড়কের এই বেহাল দশা।
শ্রীমন্ত নদী পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সড়কটি। স্লুইসগেট বা বক্স কালভার্টের ব্যবস্থা না থাকায় অতিরিক্ত পানির চাপে প্রতিবছরই রাস্তটির ঘটকের আন্দুয়া এলাকার মোল্লা বাড়ির সামনে দিয়ে ভেঙ্গে যায়। ভাঙ্গা স্থান সংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদের ভবন। সেবা নিতে আসা ইউনিয়নবাসীকে এই ভাঙ্গা রাস্তা পাড় হয়ে যেতে হচ্ছে পরিষদে।
রাস্তা ভাঙ্গা থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি টহলেও বিঘ্ন ঘটে। এছাড়াও এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটকের আন্দুয়া, কলাগাছিয়া,পিঁপড়াখালী, সুন্দ্রসহ ৫-৭ টি গ্রামে হাজার হাজার লোক উপজেলা সদর, বিভন্নি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও থানায় যাওয়া আসা করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে শত-শত কোমলমতি শিকার্থীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন সড়কটির বেশ কিছু অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে। ভাঙ্গা স্থলে নড়বড়ে সুপারি গাছ দিয়ে সাঁকো তৈরী করে কোনমতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে লোকজন।
পথচারী শাহজাহান বলেন,রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়াতে আমাদের চলাচলে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কয়েক কিলোমিটার ঘুরে তারপরে উপজেলা শহরে যেতে হয়। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়কটিতে ফাটল ধরেছে। যে কোন সময়ে আরো ভেঙ্গে যেতে পারে। বিশেষ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিপাকে পড়তে হয়। তাই সড়কটি সংস্কার প্রয়োজন।
স্থানীয় ইকবাল মোল্লা বলেন, শ্রীমন্ত তীরবর্তী স্থানটিতে একটি কালভার্ট না থাকায় প্রায় প্রতি বছর ভেঙ্গে গিয়ে ক্ষেত তলিয়ে যায়। ভাঙ্গা জায়গায় দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে নিম্ন এলাকা এবং ফসলের ক্ষতি হয় এবং নিচুঁ স্থানে পানি জমে ফসল নষ্ট হয়। এবার মনে হয় ধান হবেই না। রাস্তাটি সংস্কারসহ একটি কালভার্ট নির্মানের দাবি জানাই। পিপড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু সুজিৎ মজুমদার বলেন, আমি এই সড়ক দিয়ে গত ৬-৭ বছর চলাচল করছি।
বর্ষা এলেই ওই স্থান দিয়ে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে ভেঙ্গে যায়। এখন বিদ্যালয়ে যেতে অনেক পথ ঘুরে যেতে হয়। গত এক মাস আগে ওই স্থান দিয়ে সড়কটি ভেঙ্গে গেলেও মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই। সড়কটি সংস্কার করা হলে এলাকার যোগাযোগ ক্ষেত্রে সুফল পাবে এলাকাবাসী।
মির্জাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. আবুল বাশার নাসির বলেন, রাস্তাটি ভাঙ্গা থাকায় ওই এলাকার কয়েটি গ্রামের মানুষ দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, আমি সরেজমিনে সড়কটি পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে বলবো।
পটুয়াখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হোসেন আলী মীর জানান, খোঁজ নিয়ে চলাচলের জন্য সড়কটি দ্রুত রাস্তটি সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
শেয়ার : ১০৫