মোঃ মাঈনুল ইসলামঃ
মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি।
চতুর্থবারের মতাে সরােনা হচ্ছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পিপঁড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। নদী ভাঙ্গনে যেন পিছু ছাড়ছে না বিদ্যালয়টির। পায়রা নদী থেকে বিদ্যালয়টি ৩ মিটার দুরাত্বে রয়েছে। ভাঙ্গনের কারনে বিদ্যালয়ের বারান্দায় বড় আকার ফাটল দেখা দিয়েছে । যে কােন সময় বিলীন হয় যেতে পারে পায়রা নদীগর্ভে। গত বুধবার সরেজমিনে বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের টিনশড ঘরটি ভেঙ্গে মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িত নিয়ে বিদ্যালয়ের মালামাল রাখা হচ্ছে। নদী ভাঙ্গনের কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে গেছে।
পায়রার ভাঙ্গনের কারনে ওই্ এলাকার ৫-৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে ইতিমধ্যই। গত ২৪ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে প্রতিষ্ঠান প্রধানের আবদনের প্রেক্ষিত বিদ্যালয় ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার থেকে রক্ষা ও পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য আবেদন করেন এবং উপজেলা সহকারী কমিশনারকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। তদন্ত রিপাের্ট পেশ করেছেন তদন্ত কমিটি। জানা যায়, উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের পিপঁড়াখালী গ্রামে বিদ্যালয়টি ১৯২৬ সালে প্রতিষ্টা করা হলে তা ১৯৮৮ সালে এডিপির মাধ্যম পাঁকা ভবন নির্মান করা হয় এবং ২০১৮ সালে পায়রা নদীত বিলীন হয়ে যায় মূল ভবনটি। এ বিদ্যালয় ৭জন শিক্ষকের স্থানে প্রধান শিক্ষকসহ কর্মরত আছন ৩ জন শিক্ষক।
২০১৮ সালে বিদ্যালয়ের ভবন পায়রা নদীর গর্ভে চলে গেলে স্থানীয় দ্বন্দ ও জমি নিয়ে জটিলতার কারণে গত পাঁচ বছরেও বিদ্যালয়ের পাঁকা ভবন নির্মিত হয়নি। ফলে জীবনের ঝুকি নিয়ে পায়রা নদীর বেড়িঁ বাঁধের পাশে তিন কক্ষ বিশিষ্ট্য একটি টিনশড ঘের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যান শিক্ষককেরা। গত একমাসের অব্যাহত পায়রা নদীর ভাঙ্গনের কারনে বিদ্যালয়ের সামনে বেড়িঁবাঁধ ও ভেঙ্গে গেছে এবং বিদ্যালয়ের টিনশড ঘরেও ফাটল শুরু হয়েছে। বর্তমান টিনশেড ঘরটিও যে কোন সময় নদীত বিলীন হয় যেতে পারে বলে মনে করেন প্রধান শিক্ষক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বরাবর আবদনের প্রেক্ষিতে পার্শ্ববর্তী একটি মাদ্রসায় বিদ্যালয়ের মালামাল রাখা হবে এবং সেখানে ক্লাশ পরিচালনা করা হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু সুজিৎ মজুমদার বলেন, বিদ্যালয়টি গত ২০১৮ সাল পায়রার ভাঙ্গনে পাঁকা ভবনটি বিলীন হয়ে যায়। এরপর ভাঙ্গনের কারনে চারবার স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। স্থানীয় কিছু জটিলতার কারনে এখানে নতুন ভবন নির্মান হয়নি। নতুন ভবন বরাদ্ধ হলেও পাঁচ বছর পর তা বাতিল হয়ে গেছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য উধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জাের দাবী জানাই। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মােঃ রিয়াজুল হক বলেন,বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে চলে যাওয়ার পর নতুন ভবন বরাদ্ধ হয়ছিলাে। স্থানীয় জটিলতার কারনে ভবন নির্মান হয়নি।
বিদ্যালয়টি ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় অণ্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। নতুন ভবন না হওয়া পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী একটি মাদ্রসায় ক্লাশ পরিচালনা হবে। উপজলা নির্বাহী অফিসার মােঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টি ভাঙ্গনের মুখে পড়ায় ইতিমধ্যে বিদ্যালয়টি সুবিধাজনক স্থানে স্থান্তর ও দ্রুত মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
পানি উনয়ন বাের্ডের সাথে কথা বলেছি বেড়িঁবাধঁ দ্রুত মেরামত করা হবে। পাশের একটি মাদ্রসায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে। পরে সুবিধাজনক স্থানে বিদ্যালয়টি পূনঃস্থাপনের ব্যবস্থা করা হবে।
শেয়ার : ৭৭