ওমর ফারুক, রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীতে দেশের তৃতীয় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবরেটরী উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম বার। সোমবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে রাজশাহী পুলিশ লাইন অবস্থিত রাজশাহী বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাবের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনা ছিল ঢাকার বাইরে রাজশাহীতে একটি সিআইডির ল্যাব স্থাপন করা। চট্টগ্রামের পর এবার রাজশাহীতে উদ্বোধন করা হলো। এ কারণে মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও কমে যাবে। দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো সমাধান হবে। এখান থেকেই মৃতব্যক্তির সংগ্রহ করা ভিসেরা রিপোর্ট প্রদান করা হবে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সমস্ত মামলাগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিভাগেও এ ল্যাব স্থাপন করা হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনলাইন জুয়া একটি সাইবার অপরাধ। এটিও বন্ধ করার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। অপরাধীরা বর্তমানে অপরাধ করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। প্রযুক্তিভিত্তিক অপরাধের প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবেলা করতে হবে। সেক্ষেত্রেও কাজ করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপিএম-পিপিএম এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ অতিরিক্ত আইজিপি নাজিবুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির, বিপিএম পিপিএম, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার৷ আরমপির অতিরিক্ত কমিশনার সালমা বেগম, রাজশাহীর পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ, আরএমপির ডিসি হেডকোয়ার্টার রশিদুল হাসান, ডিসি মতিহার জয়নাল আবেদীন, ডিসি শাহ মাখদুম তারিকুল ইসলাম ও ফরেনসিক ল্যাবের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

সিআইডি ফরেনসিক ও কেমিক্যাল ল্যাবরেটরী বিভিন্ন মামলার আলামত, যেমন মাদক, এসিড ও চেতনানাশক পদার্থ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ আঙ্গুলের ছাপ ডিএনএ জাল দলিল বা স্বাক্ষর প্রভৃতি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষিত জনবলের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আদালতে মতামত দিয়ে থাকে। আরো জানানো হয়, ডিএনএ এবং ডিজিটাল আলামত ব্যতীত রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের বিভিন্ন মামলার আলামত এখন থেকে এ ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। মামলার আলামত ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করার প্রয়োজন হবে না। এতে করে সময় কমে আসবে। পরীক্ষাগারে রাসায়নিক, হস্তলিপি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, অনু বিশ্লেষণ, ফুটপ্রিন্ট ও জাল নোট শনাক্ত করার ব্যবস্থা রয়েছে। রাসায়নিক পরীক্ষাগারে ভিসেরা নারকোটিক ও এসিড টেস্ট আরো কয়েকটি আইটেম পরীক্ষা করা হবে।