আবুল হোসেন রাজু, কুয়াকাটা প্রতিনিধি
কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশ দেশের সোনার ফসল বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেই জমিতে রবি শস্যের ফসল ভালো হলোও লোকসানের মুখে রয়েছে কুয়াকাটা তুলাতলী আজিমপুর সহ প্রায় ৫০০শ অধিক চাষী।
লাগাতার লকডাউন এর কারণে বাজারজাত করতে না পাড়ায় ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে চাষীদের।
এবারে আবহাওয়া ছিল অনেকটা অনুকূল রোগবালাই ছিলো অনেকটা কম হাসি ফুটে ছিল কুয়াকাটা তুলাতলী আজিমপুরের ৫০০শ অধিক কৃষক পরিবারের মুখে, চলতি মৌসুমে ৫৯৪ হেক্টর জমিতে আবাদ করেছিল মরিচ, ভুট্টা, সূর্যমুখী, মুগ ডাল, বাদাম, পেয়েছিলেন ভালো ফলন, এরই মধ্যে নেমে আসে করোনাভাইরাস নামে বিষাক্ত অভিশাপ।
করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে শুরু হয়ে যায় লকডাউন, পরিবহন চলাচল বন্ধ তাই পাইকারিরা না আসতে পেরে অনেকটা অচল হয়ে পড়ে চাষীরা। সময় মত ফসল মোকামে পাঠাতে পারেননি সোনার ফসলের লাভের আশা তো শেষ,ধার দেনা পরিশোধ করার চিন্তায় পড়ে যায় চাষীরা।
একজন কৃষক মো: হারুন আকন (৫০) বলেন প্রায় ২ কানি জমিতে মরিচ, ভুট্টা, সূর্যমুখী, মুগ ডাল ,চাষ করি ভালো ফসল হলেও বাজারজাত করতে না পেরে অনেকটা লোকসানে পড়তে যাচ্ছি আমরা, লকডাউন থাকার কারণে এই ফসল বাজারে ক্রেত কম থাকার কারণে বিক্রি না করতে পেরে ক্ষেতের ফসল খেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ,দিন দিন লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। এজন্যই সরকারের সহযোগিতার দিকে তাকিয়ে আছে চাষীরা।
এদিকে কৃষি কর্মকর্তা মনে করেন মিষ্টি পানির সংরক্ষণ, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ফসলের চাষ সফল এনেছে । উপ-পরিচালক কৃষিবিদ, হৃদয়েশ্বর দত্ত, বলেন ইতিমধ্যে তরমুজ বিক্রির যথাযথ মূল্য পেয়েছে কৃষকরা।
এরপরও সারাদেশের সাথে লকডাউন থাকার কারণে এখন অনেকটা কষ্টকর হয়ে পড়ছে এই পণ্য বিক্রি করার, তারপরও তারা আশা করছে যদি এসব ফসল বিক্রি করতো কোন সমস্যা হয় তাহলে কৃষি বিভাগ ও প্রশাসন মিলে তাদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় এই ব্যবস্থা নেবে, সরকার ঘোষিত অনুপ্রেরণায় ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখবে এমনটাই প্রত্যাশা কৃষি কর্মকর্তা পটুয়াখালী।