মণিরামপুরের গাংগুলিয়া মাঠে আকশ্বিক ঘূর্ণি ঝড়ে কলা ক্ষেত লন্ডভন্ড, লাখ লাখ টাকা ক্ষতি

প্রকাশিত: ৭:১৭ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২০

মণিরামপুরের গাংগুলিয়া মাঠে আকশ্বিক ঘূর্ণি ঝড়ে কলা ক্ষেত লন্ডভন্ড, লাখ লাখ টাকা ক্ষতি
উত্তম চক্রবর্তী,মণিরামপুর(যশোর) অফিস॥
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের গাংগুলিয়া গ্রামে গত মঙ্গলবার রাতে আকশ্বিক ঘুর্ণি ঝড়ে প্রায় ২০ বিঘা জমির কলাগাছ উপড়ে গেছে। ফলে বর্গাচাষি কৃষকদের ২০ লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতি গ্রস্থ পরিবার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের গাংগুলিয়া গ্রামের কয়েকটি হতদরিদ্র পরিবার ধনি ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতি বিঘা জমি বাৎসরিক ১৫ হাজার টাকা জমি লিচ নিয়ে কলা চাষ করেছে। এর মধ্যে কৃষক শফিকুল ইসলাম ২ বিঘা জমি লিচ নিয়ে কলা চাষ করেছে। ঘুর্ণি ঝড়ে ৪২৩ টি কলাগাছ উপড়ে গেছে। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা। কৃষক ইমদাদুলের ৪ বিঘা জমির প্রায় সাড়ে পাঁচ শত কলাগাছ ভেঙ্গে গেছে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। কৃষক আইনুলের ২ বিঘা ৫ কাটা জমির ৪১০ টি কলাাছ ভেঙ্গে গেছে। ক্ষতির পরিমান প্রায় আড়ািই লাখ টাকা। আসাদুলের ২ বিঘা জমির ৩৫২ টি কলাগাছ ভেঙ্গে গেছে। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় ২ লাখ টাকা, ওমর ফারুখের ১বিঘা ১৫ কাটা জমির প্রায় ২শটি কলাগাছ ভেঙ্গে গেছে। ক্ষতির পরিমান প্রায় দেড় লাখ টাকা। আলী মুনছুরের ৩ বিঘা জমির ৪৭৫টি গাছ ভেঙ্গে গেছে। ক্ষতির পরিমান প্রায় ৩ লাখ টাকা। শাহাদাতের ২ বিঘা জমির সাড়ে তিনশটি গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। খায়রুলের ৩ বিঘা জমির প্রায় ৪ শটি ও কাউছারের আড়াই বিঘা জমির ৩৪০টি কলাগাছ ঘুর্ণি ঝড়ে ভেঙ্গে ও উপড়ে গেছে। তাদের দুজনের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। সরে জমিনে দেখা গেছে গ্রামের ৯ জন কলাচাষির ২০ লাখ টাকার অধিক ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ বিষয়ে কলাচাষি শফিকুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম বলেন, অন্যের জমি লিচ নিয়ে প্রচুর টাকা ব্যয় করে আমরা কলাচাষ করেছি। এখন প্রতিটি কলাগাছে কলার খাদি পড়েছে। ঘুর্ণি ঝড়ে খাদি ভরা কলাগাছ ভেঙ্গে পড়ায় আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এদিকে ক্ষতি গ্রস্থ কলাচাষিরা যেন সরকারের সহয়তা পায় তার জন্য সংশ্লিষ্ঠ মহলের সহনাভুতি কামনা করেছেন।

alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest