ঢাকা ১০ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল জেলাধীন মুলাদি,হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জের কয়েক লাখ মানুষ এখন জিম্মি একজন ইজারাদারের কাছে। হিজলা মুলাদি ও মেহেন্দিগন্জের মানুষ তাদের জেলা সদর বরিশালে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ খেয়া ঘাট। মুলাদী উপজেলা হয়ে বরিশালে ঢুকতে হলে মিরগঞ্জ খেয়া পার হয়েই যেতে হয় এই তিন উপজেলার সর্বসাধারনের। নদীমাতৃক এলাকা বরিশালের হিজলা,মুলাদী ও মেহেন্দিগন্জের জনগনকে একপ্রকার জিম্মি করেই মীরগঞ্জ খেয়া পারাপারের ইজারাদার আদায় করছেন বাড়তি ভাড়া(টাকা)। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট থাকলেও কোন ট্রলারে নেই চার্ট। জনপ্রতি ট্রলার ভাড়া নিচ্ছে দশ টাকা অথচ নির্ধারিত ভাড়া ছয় টাকা মাত্র। ট্রলারে উঠতে হলে ঘাট খাজনা দিতে হয় দশ টাকা জনপ্রতি। সর্বমোট গুনতে হবে বিশ টাকা জনপ্রতি। কেউ যদি মোটরবাইক নিয়ে ট্রলার পার হয় তাকে গুনতে হয় আশি টাকা। মিরগঞ্জ খেয়াঘাটে প্রায় ৩৫ টি ট্রলার থাকলেও চলাকাল করছে মাত্র ৫ টি। আর এই ৫টি ট্রলার ইজারাদার নির্ধারিত। ইজারাদার নির্ধারিত ট্রলারের বাইরে অন্য কোন ট্রলার এখানে চালাতে দেয়না ইজারাদারের লোকজন। যদি কোন ট্রলার মাঝি এখানে যাত্রী পরিবহনের জন্য আসে তাহলে তাকে নানাপ্রকার হুমকি ধমকি দিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য করে ইজারাদারের বাহিনী। মিরগঞ্জ খেয়া ঘাটের মাঝিমাল্লা সমিতির সভাপতি জাকির সিকদার বলেন গেল কোরবানির ঈদে কোন কোন মাঝি তাদের বাড়িতে এক প্যাকেট সেমাইও কিনে নিতে পারেননি। সাংবাদিক দের প্রশ্নের জবাবে আবেগআপ্লুত হয়ে এসব কথা বলেন মাঝি সমিতির সভাপতি। ইজারাদার নির্ধারিত বশির,তছির,নাছির,ইদ্রিছ,বেলাল ও কবির মাঝি ছাড়া অন্য কোন ট্রলার মাঝি যাত্রী পরিবহনের সুযোগ পাননা। অত্র খেয়াঘাটের মাঝিমাল্লা সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বলেন গত প্রায় তিন বছর যাবত চলছে এসব অনিয়ম। ট্রলারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। কেউ কেউ বলেন ভাড়া তো তারা অতিরিক্ত দিচ্ছেনই মাঝে মাঝে তাদের সহ্য করতে হয় মাঝিদের অসৌজন্য মূলক আচরন। এমতাবস্থায় থেকে মুক্তি পেতে এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মাঝিমাল্লা সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক সাংবাদিক দের কাছে ক্রন্দনরত কন্ঠে তাদের ট্রলার চলাচলে বাধাদান কারীদের বিরুদ্ধে আইনাইনুগ ব্যাবস্হা গ্রহনে প্রশাসনের নিকট দাবি জানান। এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: আমিনুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি তার অত্র উপজেলার দপ্তরে সদ্য যোগদান করেছেন বলে জানান, তবে তিনি অচিরেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST