দুর্ভোগের শেষ নেই পায়রা নদীর লেবুখালী ফেরিঘাটে

প্রকাশিত: ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২০

দুর্ভোগের শেষ নেই পায়রা নদীর  লেবুখালী ফেরিঘাটে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থান পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা, পায়রা সমুদ্র বন্দর, পটুয়াখালী বিজ্ঞানও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরগুনার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কিংবা পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র যেতে পার হতে হয় পায়রা নদীর লেবুখালী ফেরিঘাট। ওইএলাকার গুরুত্ব বিবেচনাই হয়তো ফেরিঘাট সংলগ্ন স্থাপিত হয়েছে শেখ হাসিনা সেনানিবাসও। কিন্তু এ লেবুখালী ফেরিঘাটের দুর্ভোগ যেন নিত্যদিনের। জোয়ার এলেই ঢুবে যায় ঘাটের অ্যাপ্রোচ সেতু থেকে শুরু করে পন্টুনও। এ ঈদে এক সপ্তাহ ধরে যাত্রীদের সাঁতরে উঠতে হয়েছে ফেরিতে। দীর্ঘদিন ধরে এ দুর্ভোগের কারণে দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের কাছে ভাবমূর্তি ক্ষুণœও হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন। অবশ্য সড়ক ও জনপথবিভাগ ও ফেরি বিভাগের দুর্ভোগ রোধে তেমন কোনো উদ্যোগ না থাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রে দৈনিক ৪ থেকে ৫ হাজার পর্যটক থাকেন। শনিবারও প্রচুর পর্যটক রয়েছে। বিশেষ করে করোনার কারণে যুবকরা মোরসাইকেল নিয়ে কুয়াকাটায় আসছেন। এদেও বেশ কয়েকজন পর্যটক লেবুখালী ফেরিঘাটের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গত শুক্রবার বিকাল ৪টায় কুয়াকাটা থেকে লেবুখালী ফেরিঘাটে পৌঁছান মামুনুর রশিদ নোমানী নামে একজন ট্যুরিস্ট। তিনি জানান, সেনানিবাস সংলগ্নব রিশালের অংশে ঘাটের পশ্চিম পাশের গ্যাংওয়ে পানিতে তলানো। প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ হাত রাস্তা ডুবে গেছে। অন্যপাশে ভালো গ্যাংয়ে থাকলেও সেটি সচল করছে না। তিনি বলেন, ফেরিতে উঠতে গেলে বাসের সামনের অংশ ডুবে যায়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন মোটরসাইকেল আরোহী ও তিন চাকার যানবাহনের যাত্রীরা। এ অবস্থা চলছে গত ২আগস্ট থেকে। ৬ আগস্ট ঢাকা থেকে কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা রিয়াজ হোসেন নামে এক ট্যুরিস্ট বলেন, এ রুটে যাত্রীবাহী পরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ফেরিঘাটে দুর্ভোগ আরও চরম। কুয়াকাটা-ঢাকা যাত্রীবাহী বাস হিমি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন বলেন, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা, পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চলাচলের জন্য লেবুখালী ফেরিঘাট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘাটসংলগ্ন রয়েছে শেখ হাসিনা সেনানিবাস। অথচ এ ঘাটে দুর্ভোগ যেন নিত্যদিন। ঈদ মৌসুমে হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়ছে ওই ঘাটে। এর কারণ হিসেবে জানান, ঘাটের প্রায় ২০০ ফিট অ্যাপ্রোচ সড়ক পানির নিচে ডুবে থাকে প্রায়ই। গত এক সপ্তাহ ধরে এমন অবস্থায় বাসের একাংশ ডুবে যাচ্ছে। ছোট যানবাহনগুলো চলতেই পারে না। আর সাধারণ মানুষকে তো সাঁতরে ফেরিতে উঠতে হয়। তিনি বলেন, ফেরির এক শ্রেণির স্টাফ তেল চুরি করেন। তারা মানুষকে দুর্ভোগে ফেলেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী ফেরি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক বলেন, বন্যার জন্য অ্যাপ্রোচ রাস্তা ডুবে গেছে। ঘাট তো ঠিকই আছে। ক’দিন ধরে অল্প সময়ের জন্য এমনটা ঘটছে। তিনি বলেন, হঠাৎ বন্যা হওয়ায় এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই। দীর্ঘদিন ধরে এ ফেরিঘাটে দুর্ভোগ প্রসঙ্গে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest