আলোকিত সময় ডেস্কঃ বরিশালের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ভুয়া জাল দলিল করতে গিয়ে হাতেনাতে গ্রেফতার হয় ভূমিদস্যু জাহিদ এর ছোট ভাই রশিদ মোল্লা সহ মোট তিনজন বাকি আসামিরা সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে পালাতে সক্ষম হয়। উক্ত ঘটনায় তাদেরকে বরিশাল কোতোয়ালি থানা পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ মোতালেব হাওলাদার বাদী হয়ে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এর আগেও বিভিন্ন জমিজমা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভোগ দখলে লিপ্ত ছিল ভূমিদস্যু জাহিদ হোসেন ও তার ছোট ভাই রশিদ মোল্লা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় মামলার বাদী মোঃ মোতালেব হাওলাদার এর ক্রয় কৃত সম্পত্তি যাহা ধান গবেষণারোড, রুপাতলী, ওয়ার্ড নং ২৪ থানা কোতোয়ালি, বরিশালে অবস্থিত, এস এ ৪৫৫ নংখতিয়ান ভূমিতে রেকর্ডীয় মালিক শফিকুল আলম এর থেকে আমমোক্তারনামা দলিল মুক্ত ভূমির মালিক মোতালেব হাওলাদার বিদ্যমান আছে। উল্লেখিত তফসিল সম্পত্তির ১২ তারিখ রশিদ মোল্লা দাতা হয়ে শহিদুর রহমান খান কবিরকে গৃহীত করে মুল বিএস পর্চা ও খাজনার দাখিলা ভুয়া জাল কাগজ তৈরি করে ১২ তারিখ দুপুরে বরিশাল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে উক্ত জমির মধ্যে ২০ শতাংশ জমি সাব কাবলা দলিলের উদ্দেশ্যে পেশকার শাহিন হাওলাদার এর কাছে কাগজপত্র প্রেরণ করেন। আসামিদের দেয়া কাগজপত্র ভুয়া ও জাল মনে হলে তাদেরকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে খবর দেয়। এবং ভুয়া কাগজপত্র জব্দ করে। খবর পেয়ে মামলার বাদী উক্ত জমির মুল মালিক সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ছুটে আসেন এবং জমির প্রকৃত কাগজপত্র প্রেরণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে আসামীদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে মামলার বাদী মোহাম্মদ মোতালেব হাওলাদার বলেন এই চক্রটি শহরে বড় একটি ভূমি দস্যুচক্রের সাথে জড়িত। তারা ভুয়া জাল কাগজ তৈরি করে মানুষকে বিভিন্ন সময় হয়রানি করে এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতারণা এবং জাল দলিল করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হল রশিদ মোল্লা, সহিদুর রহমান কবির, তৌহিদুল ইসলাম, কাদের হাং,বেল্লাল হোসেন,শওকত আলি, হিরন। মামলার বাদী অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
শেয়ার : ৩২৪