ঢাকা ১০ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০০ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০২৪
বিশেষ প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মাঠে রয়েছেন পাঁচ প্রার্থী। আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ধাপের এ নির্বাচন সামনে রেখে তারা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তবে প্রার্থী পাঁচজন থাকলেও লড়াই হবে ত্রিমুখী এমনটাই বলছেন সাধারণ ভোটাররা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদ জানান, ভোটের জন্য সব রকম প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।
জানা গেছে, নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী না থাকায় চেয়ারম্যান পদে যে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তার মধ্যে চারজনই আওয়ামী লীগের অনুসারী এবং একজন জাতীয় পার্টির।
তাদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান শিকদার দোয়াতকলম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রভাবশালী এই প্রার্থী আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েক জ্যেষ্ঠ নেতা। বিগত উপজেলা নির্বাচনে তার যে জনসমর্থন দেখা গেছে, তাতে সবাই বিস্মিত হয়েছিলেন। ওই জনসমর্থন এখনও বহাল রয়েছে বলে অনেকের ধারনা। আরেক প্রার্থী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট মেহেদী হাসান মিজান আনারস প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে রয়েছেন। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও তিনি অংশ নিয়ে বিপুল ভোট পেয়েছিলেন। তার সেই ভোট ব্যাংক কাজে লাগানোর পাশাপাশি দলীয় কর্মী-সমর্থদের সংগঠিত করে যদি মাঠে নামাতে পারেন, তবে ভোটের খেলায় তিনি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বলে ভোটাররা মত দিয়েছেন। এদিকে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ হাওলাদার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থাকায় তারও রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের তার প্রতি জনসমর্থন রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
ইউরোপের মাল্টা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: কাওসার আমিন হাওলাদার কাপ পিরিচ প্রতীক পেয়ে মাঠে রয়েছেন। বয়সে তরুণ এই প্রার্থী হঠাৎ মাঠে নেমেই আলোচনায় চলে এসেছেন । তবে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে তিনি অন্য প্রার্থীদের ভোটার তার দলে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তবে কেউ কেউ বলছেন আর্থিক সুবিধার জন্য মানুষ তার দলে গেলেও তার ভোট তিনি সঠিক যায়গাই প্রয়োগ করবেন বলে ধারণা সবার।
এছাড়াও ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন জাতীয় ওলামা পার্টির (কাজী জাফর গ্রুপের)সাবেক সভাপতি এডভোকেট রুহুল আমিন হাওলাদার। তবে ভোটযুদ্ধে ব্যাপক পিছিয়ে রয়েছেন। সাধারণ মানুষ বলছেন সহজ সরল এই প্রার্থীর কাজ থেকে অনেকেই সুবিধা নিয়েছেন। তবে তারা শেষপর্যন্ত পাশে থাকবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
নির্বাচনি পরিবেশ যদি স্বাভাবিক থাকে এবং মানুষ ভোট দিতে পারে তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের লড়াইতে কোনো প্রার্থীর একক আধিপত্য থাকবে না বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। কোনো অঘটন না ঘটলে( দোয়াতকলম, আনারস, মোটরসাইকেল) লড়াইটা যে ত্রিমুখী হবে তা এখনই বোঝা যাচ্ছে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST