আব্দুল্লাহ পাটোয়ারী ও সোহরাব দেওয়ান বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ছিলেন সংগ্রাম নেতা।

প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫

আব্দুল্লাহ পাটোয়ারী ও সোহরাব দেওয়ান বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ছিলেন সংগ্রাম নেতা।

 

মোঃ মিরাজ হোসেন #

বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম দীর্ঘ সময় ধরে রাজপথে চলমান। এ সংগ্রামে অসংখ্য নাম না জানা নেতাকর্মী নিজের রক্ত, ঘাম ও ত্যাগ দিয়ে আন্দোলনকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য, এসব ত্যাগী সৈনিক আজ অবহেলিত। ঢাকা মহানগর উত্তরের শাহ আলী থানা যুবদলের সাবেক ধর্ম সম্পাদক সোহরাব দেওয়ান ও শাহ আলী থানা যুবদলের অন্যতম সদস্য আব্দুল্লাহ পাটোয়ারী এর নামও সেই তালিকায়।

 

দল ও সংগঠনের প্রতি অগাধ বিশ্বাস নিয়ে তারা সবসময়ই রাজপথে থেকেছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ ও শাহ আলী থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সোলায়মান দেওয়ান এর নেতৃত্বে প্রতিটি আন্দোলনে তারা ছিলেন সামনে। বিগত স্বৈরাচার খুনি হাসিনার শাসনামলে অসংখ্যবার রক্তাক্ত হয়েছেন তারা, জেল জুলুম সহ্য করেছেন, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেছেন। তবুও পিছপা হননি। জুলাইয়ের গণআন্দোলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশনায় ছাত্রজনতার সাথে একাত্ম হয়ে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

 

দীর্ঘদিন ধরে তারা মামলার বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন। একের পর এক মিথ্যা মামলা, পুলিশের হয়রানি, রাজনৈতিক নিপীড়ন সবকিছুই তাদের নিত্যসঙ্গী। কখনও গৃহহীন, কখনও আত্মগোপনে দিন কাটাতে হয়েছে। অথচ তাদের সেই ত্যাগের মূল্যায়ন আজও হয়নি। বরং বর্তমান সময়ে দলের ভেতরে ‘হাইব্রিড’ নামের নতুন মুখের আনাগোনা বেড়েছে। যারা রাজপথ চেনে না, আন্দোলনের কষ্ট বোঝে না, তারাই যেন দলের নেতৃত্ব দখল করছে।

 

সব অবহেলা, কষ্ট ও ত্যাগের পরও সোহরাব দেওয়ান ও আব্দুল্লাহ পাটোয়ারী বিশ্বাস করেন তারেক রহমান দেশে ফিরে দলের হাল ধরলে অবশ্যই ত্যাগী নেতাকর্মীদের সবার আগে মূল্যায়ন হবে। তারা দৃঢ়ভাবে মনে করেন, হাইব্রিডদের দৌরাত্ম্য তখন আর টিকবে না। কারণ তারেক রহমান নিজেই স্পষ্ট করে বলেছেন স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের মিছিলে যে মানুষটি পেছনে দাঁড়িয়ে থাকে, সেও দলের পরিচয় পাবে।

সোহরাব দেওয়ান ও আব্দুল্লাহ পাটোয়ারী শুধু দুজন নেতার নাম নয়, তারা বাংলাদেশের হাজার হাজার রক্তক্ষয়ী সৈনিকের প্রতিচ্ছবি। যারা ত্যাগ স্বীকার করেও আলোচনার বাইরে থেকে গেছেন। তবুও তারা বিশ্বাস হারাননি, বরং আত্মবিশ্বাস নিয়ে রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।

 

আজ যখন দলের ভেতরে নানা অস্থিরতা, তখন এ দুই নেতার মত ত্যাগী সৈনিকদের স্মরণ করা জরুরি। তাদের ইতিহাস, তাদের অবদান নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা দরকার। গণতন্ত্রের সংগ্রামে যারা রক্ত দিয়েছে, তারাই তো দলের আসল সম্পদ।

 

গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগী সৈনিকরা কখনোই পরাজিত হয় না। সাময়িকভাবে তারা অবহেলিত হলেও ইতিহাসে তাদের নাম লেখা থাকে স্বর্ণাক্ষরে। সোহরাব দেওয়ান ও আব্দুল্লাহ পাটোয়ারীর মত নেতারা একদিন অবশ্যই প্রাপ্য সম্মান ফিরে পাবেন। কারণ তারা শুধু রাজপথের সৈনিক নন, তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের রক্তক্ষয়ী ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।


alokito tv

Pin It on Pinterest