ঢাকা ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
মো: আ: হামিদ টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: সকালে ঘুম থেকে উঠেই বেকারীর পাউরুটি, মজাদার বিভিন্ন বিস্কুট অথবা সুস্বাদু কেক দিয়ে হরহামেশাই নাস্তা করছি এবং আমাদের ছেলে মেয়েদেরকে বিভিন্নরকমের লোভনীয় রসালো খাবার প্রতিনিয়ত কিনে দিচ্ছি। বেকারীর তৈরী এসব খাবার কি ভাবে তৈরী করা হচ্ছে তা দেখে অবিশ্বাস্য মনে হবে। বেকারি খাবারের নামে এসব কি খাওয়ানো হচ্ছে খাদ্য নাকি রোগ জীবাণু। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আশ্রা নামক স্থানে মো. শফিকুল ইসলামের নাহিদ বেকারী নামে তেমনই এক বেকারীর সন্ধান পাওয়া গেছে। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভোক্তা অধিকার আইনের তোয়াক্কা না করে তৈরী হচ্ছে পাউরুটি, কেক, বিভিন্ন রকমের বিস্কুট, সিংগারা ও বাচ্চাদের জন্য লোভনীয় রসালো খাবার। তেলের পরির্বতে বার বার ব্যবহার করা হচ্ছে খুবই নিম্নমানের একই পামওয়েল এবং পামওয়েলের সাথে ময়দা মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাখন। চিনির সাথে সেকোরিন মিশিয়ে তৈরী করা হচ্ছে রসালো পিঠা। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই বেকারির খাবার খেয়ে অনেক মানুষ আমাশয় সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিভিন্ন খাদ্যের সাথে অসংখ্য কিট পতঙ্গও পরে থাকতে দেখা যায়। এ বেকারীতে শিশু আইন না মেনে শিশুদেরকে দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে বিভিন্ন বেকারি খাবার। কোন খাদ্যের প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ন তারিখ ও বিএসটিআই অনুমোদিত স্টিকার এবং খাদ্য উৎপাদন ও বিতরণের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি এই বেকারি মালিক শফিকুল ইসলাম। এই অস্বাস্থ্যকর বেকারীর তথ্য সংগ্রহ ও ভিডিও ফুটেজ তুলতে গিয়ে প্রেসক্লাব মধুপুর এর সভাপতি এবং আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি মো.আ. হামিদ, ও প্রেসক্লাব মধুপুরের সাধারন সম্পাদক কেটিভির মধুপুর প্রতিনিধি বাবুল রানা ও ক্যামেরাম্যান জুয়েল রানাকে এই ভিডিও প্রচার ও সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন ভাবে তিনি প্রলোভন দেখান। এলাকাবাসি বলেন- এমন অস্বাস্থ্যকর নোংরা বেকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST