কলাপাড়ায় ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগে চরম দূর্ভোগ। নির্মানাধীন নতুন ব্রিজের কাজ বন্ধ রয়েছে

প্রকাশিত: ৬:৪৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০

কলাপাড়ায় ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগে চরম দূর্ভোগ। নির্মানাধীন নতুন ব্রিজের কাজ বন্ধ রয়েছে

মো. ওমর ফারুক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মানাধীন গার্ডার ব্রিজের কাজ দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। যোগাযোগের উপায় পুরনো ব্রিজটি ধসে পড়েছে আরও নয় দিন আগে। এখন দুই পাড়ের ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে শুধু মানুষ চলাচল করছে একটি স্টিল বডির ট্রলার নদীর মাঝখানে আড়াআড়ি করে বেধে রেখে। কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্বমধুখালী আর পশ্চিম মধুখালী পারাপারের ব্রিজ ধসে নদীতে পড়ায় আশপাশের আরও দশ গ্রামের মানুষ এখন চরম দূর্ভোগে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ মানুষ। স্কুলগামী শত শত শিশুরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এ পথে। নিত্যকার এ দূর্ভোগ নিয়ে ১০টি গ্রামের মানুষের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কারণ এলজিডির নির্মাণাধীন নতুন গার্ডার ব্রিজের কাজ দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা জানালেন, দুই পাড়ের এ্যাবারমেন্ট ওয়াল করে এখন দুই মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় একটি বালুবাহী ট্রলিসহ পুরনো জীর্ণদশার আয়রন ব্রিজটি ধসে নদীতে পড়ে যায়। ব্রিজটি ধসে মারা যায় কৃষক আনিচ প্যাদা। আহত হয় আরও চারজন। এরপর থেকে পূর্ব মধূখালী, পশ্চিম মধুখালী, মেলাপাড়া, আজিমদ্দিন, তেগাছিয়া, গোলবুনিয়া, চরপাড়া, সাফাখালী, আরামগঞ্জ, ইসলামপুর গ্রামের মানুষ যোগাযোগে চরম দূর্ভোগে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। তাঁদের প্রতিদিন চরম ঝুঁকি নিয়ে সকাল-বিকাল চলাচল করতে হচ্ছে। অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তবে ওই এলাকার মানুষ জন চলাচলের জন্য নিজেদের উদ্দ্যেগে একটি সাকোঁ দিতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হেমায়েত উদ্দিন হীরন বাঁধা প্রদান করেন। যার কারনে সাকোঁ দিতে পারেনি। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হেমায়েত উদ্দিন বলেন চরমোনাইয়ের অনুসারীরা ১০টি বাঁশ দিয়ে সাঁকো দিতে চেয়ে ছিল এর আগেই ইউনিয়ন পরিষদ সাঁকো দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। রোববার (আজ) মালামাল পাঠানো হয়েছে।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest