ঢাকা ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:২০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
মো. ওমর ফারুক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মহিপুর থানাধীন মহিপুর ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে মোসা: হালিমা বেগম (২৭) নামে এক অসহায় মহিলা আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামের মো. কামাল মল্লিকের বাড়িতে ঘটেছে। আহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের জব্বার দর্জী ও তার স্ত্রী রাশিদা বেগমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে কামাল মল্লিকের বসতবাড়ীর জমি নিয়ে বিরোধ চলমান ছিল। কামাল মল্লিক একজন নিস্বঃ ভূমিহীন হিসাবে সরকারী খাস জমিতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বসতবাড়ী করে বসবাস করে আসছে। অথচ জব্বার দর্জী সেই জমি নিজেদের জমি বলে দাবী করে কামাল মল্লিককে দীর্ঘদিন ধরে জমি ছাড়ার জন্য হুশিয়ারী দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ গত ১৮-০২-২০২০ বুধবার কামাল মল্লিক প্রতিপক্ষের হুশিয়ারী ও মারামারি করার প্রবণতা দেখে মহিপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। কোন এক অজানা কারনে পুলিশ সে বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে আহতের পরিবার জানান। অভিযোগ দায়েরের পরের দিন ((বৃহস্পতিবার) প্রতিপক্ষ জব্বার দর্জী, তার স্ত্রী রাশিদা বেগমের আগের ঘরের পুত্রদ্বয় রাজু গাজী ও সুমন গাজী জোড় পূর্বক কামাল মল্লিকের বাড়ির গাছের তেতুল পারতে যায়। এতে আহত হালিমা বেগম বাধা দিলে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হালিমা বেগমকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেদরক মারধর করে। একপর্যায়ে হালিমা বেগম অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করেন। এবিষয়ে প্রতিপক্ষ রাশিদা বেগমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি পুরো বিষয়টি মিথ্যা ও সাজানো বলে দাবী করেন। মহিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. মাহবুব আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মহিপুর থানার সদ্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বপালন করায় মারামারির আগের দিনের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা নেই বলে তিনি জানান।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST