ঘোড়াঘাটে মাদকের রাজ্যে রাজত্ব করছে ব্যাথানাশক ট্যাবলেট

প্রকাশিত: ৬:০২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০

ঘোড়াঘাটে মাদকের রাজ্যে রাজত্ব করছে ব্যাথানাশক ট্যাবলেট
লোটাস আহম্মেদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বাজারে এসেছে বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য। এসবের নাম, দাম ও কার্যকারীতাও ভিন্ন রকমের। বর্তমান সময়ে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলায় মাদকের বিকল্প হিসেবে ব্যাথানাশক ট্যাবলেট ব্যবহার করছে মাদক সেবীরা। জানা যায়, কঠিন ব্যাথা নিরধোক ট্যাবলেট টাপেনটা, লোপেনটা, সেন্টা, সেন্টাডল ও পেন্টাডল সহ বিভিন্ন ব্যাথানাশক ট্যাবলেট মাদক সেবীরা মাদকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছে। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ও প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে গাঁজা, ফেন্সিডিল ও ইয়াবা সহ প্রচলিত বিভিন্ন মাদকের কারবার তুলনামূলক কমে গিয়েছে। এসব মাদক হাতের নাগালে না পাওয়ায় ও দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় মাদক সেবীরা মাদকের বিকল্প হিসেবে এসব ব্যাথানাশক ট্যাবলেট ব্যবহার করছে। অপরদিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় এসব উপজেলার ফার্মেসী দোকান গুলো অধিক লাভের আশায় প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এসব ট্যাবলেট মাদক সেবীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। এসকেএফ কোম্পানীর ব্যাথানাশক ট্যাবলেট টাপেনটা (৫০,৭৫ ও ১০০ মিলিগ্রাম) ও ইনসেপ্টা কোম্পানীর ব্যাথানাশক ট্যাবলেট সেন্টাডলের ( ৫০,৭৫ ও ১০০ মিলিগ্রাম) বাজার মূল্যে ১২ টাকা থেকে ২০ টাকা (মিলিগ্রাম অনুসারে)। অপর দিকে হেল্থকেয়ার কোম্পানীর ব্যাথানাশক ট্যাবলেট সেন্টা‘র (৫০,৭৫ ও ১০০ মিলিগ্রাম) বাজারমূল্যে ১৪ টাকা থেকে ২৫ টাকা (মিলিগ্রাম অনুসারে)। কিন্তু ফার্মেসী দোকানগুলো এসব ট্যাবলেট মাদকসেবীদের কাছে ৫০ থেকে ১২০ টাকা দামে বিক্রি করছে। শুধু ফার্মেসী দোকানগুলো নয়! অধিক লাভের আশায় মাদক ব্যবসায়ীরাও শহরের বড় বড় ফার্মেসী থেকে এসব ট্যাবলেট কিনে এনে অধিক দামে স্থানীয় মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মাদকসেবী জানান, এসব ব্যাথানাশক ট্যাবলেট মরণ নেশা ইয়াবার চেয়ে দিগুন কার্যকরী। এসব ট্যাবলেট সেবন করলে ইয়াবার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি নেশা হয়। ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুর নেওয়াজ আহম্মেদ বলেন, এসব ট্যাবলেট সাধারণ ক্যান্সারের মত কঠিন রোগের ব্যাথার প্রতিশেধক হিসেবে ব্যবহার করা কয়। কোন সুস্থ মানুষ যদি এসব ট্যাবলেট নিয়মিত সেবন করে, তবে কিডনী ড্যামেজ হয়ে যাবে। ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, এসব মাদক নিমূলে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা সকল ফার্মেসীর মালিকদেরকে ডেকে এ জাতীয় ট্যাবলেট বিক্রি করতে নিষেধ করেছি। তাছাড়া উপজেলার বড় বড় ফার্মেসী গুলো আমাদের নজরদারীতে রয়েছে। কিছুদিন আগে এসব ব্যাথানাশক ট্যাবলেট মাদক সেবীদের কাছে বিক্রির অপরাধে আমরা একাধিক ফার্মেসী দোকানদারকে গ্রেফতার করেছিলাম।

alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest