তারাগঞ্জে একই রাতে তিনটি মন্দিরে ভাঙচুর

প্রকাশিত: ৭:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০

তারাগঞ্জে একই রাতে তিনটি মন্দিরে ভাঙচুর
 প্রবীর কুমার কাঞ্চন তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি :- রংপুরের তারাগঞ্জে একই রাতে তিনটি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতের অন্ধকারে কে কারা ওই মূতিগুলো ভেঙে ফেলে। গত রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর বানিয়াপাড়া এলাকায়। পুলিশ ইউএনওসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বানিয়াপাড়া গ্রামে অবস্থিত সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সরস্বতী পুজা করে মন্দিরের ভেতরে মূর্তি রেখে দেয়। গত রবিবার সকালের দিকে ওই গ্রামের লোকজন দেখতে পান মূর্তিটি কে বা কারা ভেঙ্গে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। একইভাবে ওই গ্রামের ধৈর্য্য রায় ও ভূপতি রায়ের পৃথক দুইটি পারিবারিক মন্দিরে রাখা শিব মূর্তিও কে বা কারা ভেঙ্গে দেয়। ধৈর্য্য রায়ের স্ত্রী তেলো বালা (৪৮) জানায়, শনিবার রাতে মন্দিরে রাত দুইটা পর্যন্ত পূজা-অর্চনা করে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মন্দিরের ভেতরে কে বা কারা মূর্তিটি ভেঙ্গে মাটিতে ফেলে রেখেছে। দূর্গা মন্দিরের সভাপতি আশীষ কুমার রায় জানায়, একই রাতে তিনটি মন্দিরের মূর্তি ভেঙ্গে দেয়ায় বর্তমানে আমাদের সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে ওই গ্রামে গ্রাম্য পুলিশদের পাহারায় রাখা হয়েছে। গতকাল সোমবার মুর্তি ভেঙ্গে ফেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)আবু মারুফ হোসেন, রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মারুফ আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, রংপুর জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অজয় প্রসাদ বর্মন, সম্পাদক ধীমান ভট্টাচার্য। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ বাবুল। মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনাটি স্বীকার করে তারাগঞ্জ থানার ওসি জিন্নাত আলী, বিষয়টি স্পর্শকাতর। এ কারণে তদন্ত করাপ হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest