এনামুল হক, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ অপহরণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পটুয়াখালীর বাউফলে মোসা. রাহিমা বেগম (২০) নামে এক নারীকে মারধর করা হয়েছে এবং তাঁর বাবা মো. ইদ্রিস হাওলাদারকে (৫০) ইট দিয়ে দুই দফায় পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে । আহত ইদ্রিসকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মো. পারভেজ (২২) নামে এক তরুণের নের্তৃত্বে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারভেজ নাজিরপুর ইউনিয়নের নিজ তাতেরকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দা ও আহত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,প্রায় দুই বছর আগে নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাতেরকাঠী গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের মেয়ে রাহিমাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের নিজ তাতেরকাঠী গ্রামের মো. শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে পারভেজ। তাঁদের ঘরে রয়েছে মোসা. রুনা নামে পাঁচ মাসের একটি কন্যা শিশু। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাবার পাশে বসে রাহিমা বেগম অভিগোগ করেছেন, পারভেজ ছিলেন মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে। এ কারণে যৌতুকের জন্য প্রায়ই তাঁকে নির্যাতন করতেন এবং স্ত্রীর হক আদায় করতে ব্যর্থ ছিলেন। এ কারণে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর তিনি তাঁর স্বামীকে তালাক দেন। এখন আর তিনি তাঁর (পারভেজ) স্ত্রী না। তিনি আরও বলেন, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি (পারভেজ) লোকজন নিয়ে তাঁকে (রাহিমা) জোরপূর্বক উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে তাঁকে (রাহিমা) মারধর করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে পারভেজ পালিয়ে যান। পরে দুপুর ১২ টার দিকে পারভেজ ও তাঁর মামা আনিচ জোমাদ্দারের (৩৫) নেতৃত্বে আরও চার-পাঁচজন মিলে নুরাইনপুর বাজারে তাঁর বাবাকে (ইদ্রিস) একটি দোকান থেকে জোরপূর্বক টেনেহেঁচরে নিয়ে ইট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। খবর পেয়ে তাঁর মা মিনারা বেগম (৪৫) ছুটে যান এবং তাঁর বাবাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশ্যে রিকশায় করে রওয়ানা হন। দুপুর একটার দিকে নুরাইনপুর-তাতেরকাঠী সেতুর পূর্ব পাশে পৌঁছালে ফের তাঁর বাবাকে মারধর পারভেজ ও তাঁর লোকজন। ওই সময় তাঁর মাকেও ধাক্কা মেরে আহত করা হয়। তাঁর বাবা সুস্থ হলে এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান রাহিমা। এ বিষয়ে জানার জন্য পারভেজের মুঠোফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তাঁর মামা আনিচ জোমাদ্দার বলেন,‘মারধরের সময় উপস্থিত ছিলেন, তবে মারধর করেননি।’ পারভেজ একাই মেরেছে বলেও তিনি জানান। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’