লোটাস আহম্মেদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :- দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নুরজাহানপুর গ্রামের টগবগে যুবক মাসুদ। সবে মাত্র উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ডিগ্রীতে পড়া লেখা করছে। খেটে খাওয়া কৃষক বাবার পক্ষে তার পড়া লেখার খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই পড়া লেখার পাশাপাশি ঢাকার একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করে মাসুদ। দিন রাত পরিশ্রম করে সামান্য কয়টি টাকা জমিয়ে বাবা মায়ের সাথে দেখা করতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিল সে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বাবা মায়ের সাথে দেখা হয়ে উঠল না তার। বাড়ি ফেরার পথে বগুড়ায় এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয় মাসুদ। তাৎক্ষনিক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। আজ দশ দিন যাবত ঢাকার ইউনিহেল্থ স্পেশালাইজড হসপিটালের আইসিইউ’তে জ্ঞানহীন হয়ে পড়ে আছে সে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় বড় ধরণের আঘাত পেয়েছে সে। তাকে সুস্থ করে তুলতে হলে প্রয়োজন হবে দশ থেকে পনেরো লক্ষ টাকা। কিন্তু মাসুদের কৃষক বাবা সর্বচেষ্টা করে আট দিনে হাসপাতালের খরচ বাবত আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে। টাকার অভাবে তারপক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না সন্তানকে সুস্থ করে তোলা। মাসুদের বাবা আমির আলী কান্নাভারা কন্ঠে বলেন, দেয়ালে আমার পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমি আমার সর্বাত্বক দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু এত টাকা দিয়ে ছেলেকে সুস্থ করে তোলা আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়। প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা হসপিটালে দিতে হচ্ছে। টাকার অভাবে ভালো কোন হাসপাতালে ভর্তি করতে পারছি না। আমার একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে সকলের সহযোগীতা চাচ্ছি। আমার ছেলেকে সহযোগীতা করতে এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন ( বিকাশ- ০১৭৫০৪৬৫০৯৫, ০১৭৩৪১৯৮৬৫৮)।