দুমকিতে নদী ভাঙ্গনে নি:স্ব পরিবারের মানবেতর দুমকি

প্রকাশিত: ১:৩৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২০

দুমকিতে নদী ভাঙ্গনে নি:স্ব পরিবারের মানবেতর দুমকি
মোঃ জসিম উদ্দিন দুমকি প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে পায়রার কড়াল গ্রাসে নি:স্ব হওয়া ষাটোর্ধ অসহায় দম্পতির দুর্বিষহ জীবন কাটছে ঝুপড়ি ঘরে। বৃষ্টিতে ভিজে, রৌদ্রে পুড়ে আর তীব্র শীতে জবুথুবু অবস্থায় খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের মানবেতর জীবন-যাপন। মরার আগে একটু নতুন ঘরে ঘুমানোর ইচ্ছাটা যেন আর পূরণ হবেনা। এমনটাই মনে করছেন এই দম্পত্তি। জানা গেছে, উপজেলার পায়রা নদীর ভাংগন তীরবর্তি পাংগাশিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ধোপারহাট গ্রামের বাসিন্দা হাসেম মৃধা (৭৫) তার স্ত্রী মোসাঃ বেগম (৬০) । পায়রা নদীতে নিজেদে শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিয়েছে। বলতে গেলে খোলা আকাশের নীচে ঝুপড়ি ঘরে বসবাবাস করছেন ওই অসহায় বৃদ্ধ হাসেম মৃধার পরিবার। প্রাকৃতিক দুর্যোগ-বন্যা আর নদী ভাংগনে নি:স্ব ও অসহায় দু’জনের সংসার চলে প্রতিবেশীদের কাছে চাইয়ে চিন্তে। উপার্জনক্ষম একটি মাত্র ছেলের অকাল মৃত্যুতে তারা আরও অসহায় হয়ে পড়ে। ভাঙা ঝুপড়ি ঘরে একটু বৃষ্টি হলেই পানির ফোটায় বিছানা ভিজে যায়। দিনের শেষে ভেজা বিছানায়ই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার রাত কাটাতে হয়। হাসেম মৃধা বলেন, পায়রা নদীর ভাঙ্গনে আমি নি:স্ব হয়ে গেছি। জায়গাজমিসহ একমাত্র ঘরটি নদীতে চলে গেছে। আমাদের অসহায়ত্ব দেখার মতো কেউ নেই। খেয়ে না খেয়ে থাকা যায় কিন্তু ঘর না থাকলে দিন-রাত পার করা খুব মুসকিল। সরকার কত মানুষেরে ঘর দেয় আমি গরীব হইয়াও একটা ঘর পাইলাম না। স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে একটি ঘরের জন্য কতবার গেছি। শুনছি টাকা ছাড়া নাকি ঘর মিলে না। আমার-তো টাকা নাই তয় আমি কি আর ঘর পামুনা? দুমকি উপজেলা নিবার্হী অফিসার শঙ্কর কুমার বিশ্বাস বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধাসহ যদি সে ঘর পাওয়ার যোগ্য হয় তাহলে তাকে একটি সরকারি ঘরেরও ব্যবস্থা করে দেয়া হবে ।

alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest