মুজিব জন্মশত বর্ষ পালনে সৈয়দপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে অনিয়ম

প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২০

মুজিব জন্মশত বর্ষ পালনে সৈয়দপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে অনিয়ম
খাদেমুল মোরসালিন শাকীর,রংপুর ব্যুরো ॥ আজ ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শত তম জন্ম দিন। একইসাথে দিনটি পালন করা হচ্ছে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও। সরকারীভাবে এ দিবসটি পালনে প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেছে। বিশেষ করে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাক উত্তোলনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে। কিন্তু নীলফামারীর সৈয়দপুরে এই জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে অনিয়ম। কোন কোন প্রতিষ্ঠান একেবারেই পতাকা উত্তোলন করেনি। আবার কোন প্রতিষ্ঠান উত্তোলন করলেও তা দুপুরের আগেই খুলে ফেলেছে বা অনেকে যেন তেন ভাবে উত্তোলন করে দায়সারা কাজ করেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এরকম অনিয়ম আর অনিহার দৃশ্য চোখে পড়েছে ব্যাপকভাবে। কামারপুকুর ইউনিয়নের বাগডোকরা হাছিমুদ্দিন এবতেদায়ী মাদরাসায় গিয়ে দেখা যায় এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। অথচ এ প্রতিষ্ঠানটিতে নারিকেল গাছের সাথে কোন রকমে একটি পতাকা বাঁশ দিয়ে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি বাঁশটিও নারিকেল গাছের পাতা দিয়েই বাঁধা হয়েছে। এতে পতাকাটি নারিকেল গাছের নিচেই অবস্থান করছে। যা সহজে প্রতিষ্ঠানের পাশ দিয়ে রাস্তায় যাতায়াতকারী পথচারীদের দৃষ্টিতেও পড়বেনা। যদি কেউ তা প্রত্যক্ষ করতে সচেষ্ট হয়। এতে চরমভাবে জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হয়েছে। এদিকে উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় সেখানে পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। তাৎক্ষনিক ওই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, সকালে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। পরে স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র সোহেল রানা (রোল নং-৩) কে দায়িত্ব দিয়ে শিক্ষকরা স্কুল থেকে চলে গেছে। এমতাবস্থায় ওই ছাত্র বেলা ১১ টায় চলে যাওয়ার পর পতাকা খুলে ফেলেছে। এক্ষেত্রে ওই শিক্ষকের মন্তব্য হলো ছেলেটা যদি আগেই পতাকা খুলে থাকে তাতে আমার করার কিছুই নাই। পরে সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে স্কুলটি সহকারী শিক্ষক রাজু এসে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে আবারও পতাকা উত্তোলন করেন। এধরণের আরও অনেক প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনে কোন নিয়ম নীতি মানা হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া বিষয়টি তদারকিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসের কেউ কোন দায়িত্ব পালন করেনি বলেও জনগণের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে। বিশেষ দিবস পালনে যেন প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিহাই প্রকাশ পেয়েছে। এব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন জানান, যদি শিক্ষার্থীকে দায়িত্ব দিয়ে থাকেন তাহলে প্রধান শিক্ষক অবহেলার কাজ করেছেন। তিনি এ ধরণের কাজের জন্য তার দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। যেহেতু তিনি স্কুলে এসেছিলেন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, সেহেতু পতাকা নামানোও তারই দায়িত্ব ছিল।

alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest