ঢাকা ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৫৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০১৯
বরিশাল প্রতিনিধি পারভেজ সিকদারঃ বরিশাল জেলায় ঘুর্নিঝড় বুলবুল’র আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক আজ ১১ই নভেম্বর দুপুর ১ টায় জেলা প্রশাসক বরিশাল কতৃক প্রাথমিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রস্তুতের কাজ চলমান আছে। জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম অজিয়র রহমানের স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী৬৫৫ টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহনকারীর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার তার মধ্যে নারী ও শিশু ৬১ হাজার জন, পুরুষ ৫৯ জন ছিলো আজ সকালেআশ্রয়কেন্দ্র থেকে আশ্রিতরা নিজের বাড়ি ঘরে ফিরেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা ও শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। আশ্রয়গ্রহণকারী মানুষের অবস্থান আনন্দমুখর করার জন্য খিচুড়ি রান্না এবং বিভিন্ন খাবার পরিবেশন করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ঘুর্নিঝড়ে ১ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে, মৃত নারী হলেন আশালতা মজুমদার তিনি উজিরপুর উপজেলার ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার বসতবাড়ির উপরে ঘুর্নিঝড়ে ফলে গাছ ভেঙ্গে পরলে গাছের আঘাতে তার মৃত্যু হয়। জেলা প্রশাসন বরিশালের পক্ষ থেকে নিহত নারীর পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা অর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় পাশাপাশি তাকে একটি দুর্যোগ সহনশীল ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এদিকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় একটি গবাদি পশু (গাভী) মারা গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলমান রয়েছে। বরিশাল জেলায় ফসলের ক্ষতি কিছুটা হয়েছে যেমন, রোপা উফশী আমন ধান ১ লক্ষ হেক্টর, খেসারী ডাল ২ হাজার হেক্টর, সবজি ৪ হাজার হেক্টর। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলমান রয়েছে। ৩ হাজার টিঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতি হয়েছে এবং সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে ৫০ টি ঘর।বাঁধের ক্ষতি হয়েছে ২২ কিলোমিটার, বিভিন্ন বেড়ীবাধ সার্বক্ষনিক নজরদারীর মধ্যে রাখা হয়েছে। ১ লক্ষ টি ছোট বড় গাছের আংশিক ও সর্ম্পুণ ক্ষতি হয়েছে। এ সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চুড়ান্তভাবে নির্ধারণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এর ফলে মৎস্য ঘের ও পুকুর ৪৩৫ টি ক্ষতি হয়েছে। এ সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চুড়ান্তভাবে নির্ধারণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।কাঁচা রাস্তাঘাটের ক্ষতি হয়েছে ১২০ কিলোমিটার। এ সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চুড়ান্তভাবে নির্ধারণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান, প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৫০ টি এবং মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতি হয়েছে ১০ টি। এ সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চুড়ান্তভাবে নির্ধারণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, ঘর নির্মাণের জন্য ঢেউটিন, ত্রাণ সামগ্রী, কম্বল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। জরুরি ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড় ফণি’র আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের কাজ অব্যাহত রয়েছে। হালনাগাদ তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে সকলের মাঝে তুলে ধরা হবে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST