মো. ওমর ফারুক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগ সভাপতি জাকি হোসেন জুকু’র বিরুদ্ধে কামাল হোসেন নামক একজনকে অপহরনপূর্বক শারিরীক নির্যাতন ও খুন জখমের ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক অলিখিত একাধিক নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্প, রেফ ও ৫টি ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কাউন্সিলর জুকু’র ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান খান এন্টার প্রাইজে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে জুকু দাবী করেন, প্রতিপক্ষ কামাল হোসেন একজন প্রতারক ও আত্মসাৎকারী প্রকৃতির মানুষ। আমার সুখ্যাতি ও সুনাম নষ্ট করার জন্য কামাল হোসেন এ অপহরন ও চাঁদা দাবীর মামলা করেন। মামলায় বর্নিত ১ মার্চ ঘটনার তারিখে ঘটনাস্থলে কোন ঘটনাই ঘটেনি। প্রতিপক্ষ কামাল হোসেন ২ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার জন্য এবং নিজের দোষ ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে। এমনকি তার দায়েরকৃত ৪৫ নম্বর জিডি’র ঘটনা তদন্তের জন্য পুলিশ উপ-পরিদর্শক শওকত জাহান আদালতে আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। সংবাদ সম্মেলনে জুকু’র দাবী, তাঁর মালিকানাধীন পায়রা ব্রিক্স, খান ব্রিক্স ও দেশ ব্রিক্স’র ম্যানেজার হিসেবে ২০১৬ সালে কামাল হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়। উক্ত ৩টি ব্রিক ফিল্ডে ২০১৬-২০২০ পর্যন্ত ম্যানেজারের দায়িত্বে থেকে হিসাব নিকাশ না দিয়া কামাল হোসেন পালিয়ে যায়। এরপর তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে কামাল’র সাথে হিসাবান্তে জুকুর পাওনা ২ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা পরিশোধের জন্য কামাল তার ইসলামী ব্যাংক ৪৯০ হিসাবের দু’টি চেক স্বাক্ষর করে প্রদান করেন। এ বিষয়ে জুকু’র বিরুদ্ধে অপহরন ও চাঁদা দাবী’র মামলার বাদী মো: কামাল হোসেনের সাথে তার মুঠো ফোনে একাধিক বার সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
