সকল এনজিও ঋণগ্রহীতাদের ৬ মাসের কিস্তি শিথিলের নির্দেশঃ

প্রকাশিত: ৩:৪২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২০

সকল এনজিও ঋণগ্রহীতাদের ৬ মাসের কিস্তি শিথিলের নির্দেশঃ
মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) এনজিও ঋণের কিস্তি ছয় মাসের জন্য শিথিল করেছে। যে সকল ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছেন, তারা যদি আগামী জুন মাস পর্যন্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহলে তাদের খেলাপি করা যাবে না। রবিবার (২২ মার্চ) ক্ষুদ্রঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে এটি পাঠানো হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে করোনা ভাইরাসজনিত কারণে বিশ্ব বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতির এ নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৪৪ অনুসরণে ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ওই ঋণ তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।’ অর্থাৎ, কোনো গ্রাহক যদি ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে তাদের ঋণকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলেও ঋণকে নিয়মিত রেখে প্রয়োজনে নতুন ঋণ দিতে হবে। তবে যদি কোনো ঋণের অর্থ পরিশোধিত হয়, ওইসব ঋণের মান যথাযথভাবে উন্নীত করা যাবে। এমআরএর তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৫৮টি এনজিও সারাদেশে প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। ৩ কোটির বেশি গ্রাহক এই ঋণ গ্রহণ করেছেন এবং এর মধ্যে ৬৮ হাজার কোটি টাকা বকেয়া ঋণের পরিমাণ।

alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest