আমতলীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় লোহার বড় দিয়ে পিটিয়ে জখম।

প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২০

আমতলীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় লোহার বড় দিয়ে পিটিয়ে জখম।

মোঃ হাইরাজ বরগুনা প্রতিনিধি।। বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের প্রবাসী মামুন হাওলাদার পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রতিবেশী সোনা মিয়া ডাকুয়া ও তার তিন ছেলে লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মামুন হাওলাদার ও তার ভাইয়ের ছেলে জাকারিয়াকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে। জানাগেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের প্রবাসী মামুন হাওলাদারের কাছ থেকে প্রতিবেশী সোনা মিয়া ডাকুয়া যৌথ গরুর ব্যবসার জন্য অক্টোবর মাসে তিন লক্ষ টাকা নেয়। দুই মাসের মধ্যে ওই টাকা ফিরিয়ে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সোনা মিয়া ডাকুয়া ব্যবসা করে লভ্যাংশ ও মুলধন টাকা ফিরিয়ে না দিয়ে মামুনকে ঘুরাতে থাকে। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকদফা শালিস বৈঠক হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে মামুন ওই টাকা চাইতে সোনা মিয়া ডাকুয়ার বাড়ীতে যায়। এ সময় সোনা মিয়া ডাকুয়া ও তার তিন ছেলে মনিরুল ডাকুয়া, লাল মিয়া ডাকুয়া ও সোহাগ ডাকুয়া পাওনাদার মামুন হাওলাদারকে মাছ শিকার করা চল ও লোহার বড় দিয়ে মাথা ও বুকে আঘাত করে। মামুনের ডাক চিৎকারে তার ভাইয়ের ছেলে জাকারিয়া এগিয়ে গেলে তাকেও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আহত মামুন বলেন, যৌথভাবে গরুর ব্যবসা করার জন্য আমার কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা নেয়। ওই টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাকে ও আমার ভাতিজাকে লোহার রড ও মাছ শিকার করা চল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটানর বিচার চাই। এ বিষয়ে সোনা মিয়া ডাকুয়া টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি মামুনকে মারধর করিনি। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিখিল চন্দ্র রায় বলেন, আহত মামুন ও জাকারিয়ার মাথায় ও বুকে ধারালো দেশীয় অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। বরগুনা সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী সার্কেল) সৈয়দ রবিউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest