কিশোরগঞ্জে আগাম আলু ক্ষেতে মড়ক,হতাশ কৃষক

প্রকাশিত: ২:০০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৯

কিশোরগঞ্জে আগাম আলু ক্ষেতে মড়ক,হতাশ কৃষক

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, রংপুর ব্যুরোঃ নীফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আগাম আলু ক্ষেতে ব্যাপক হারে মড়ক দেখা দিয়েছে।একাধিকবার স্প্রে করেও কাজ না হওয়ায় হতাশ হয়ে পরেছে চাষীরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার রবি মৌসুমে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৩ হাজার ২শ হেকটর জমিতে ৯হাজার ৫০৪ জন চাষী আগাম আলু চাষ করেন। এ এলাকার জনপ্রিয় চাষাবাদের মধ্যে আলু হচ্ছে অন্যতম।
গত সোমবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ,ব্যাপকহারে আলু ক্ষেতে মড়ক ধরেছে। বিঘপ্রতি শতকরা ৫০ভাগ আলু গাছ মরে গেছে।
চাষীরা জানায় মড়ক রোধ করার জন্য কয়েকবার স্প্রে করেছি। কোনও ওষুধে কাজ হচ্ছেনা। নিতাই ইউনিয়নের পাগলাটারী গ্রামের আলু চাষী কালাম মেম্বার বলেন, আমি ৭ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছি। এর মধ্যে ৩ বিঘা জমির আলুর গাছ ৩ভাগ মরে গেছে বালাই নাশক ব্যবসায়ীরা একের পর এক ওষুধ দিচ্ছে কিন্তু কোন ফল পাওয়া যাচ্ছেনা। চাঁদখানা নগরবন গ্রামের চাষী ছামসুল ইসলাম বলেন, তার ১০বিঘা (৩০শতাংশ ) জমির আগাম আলুর মধ্যে দু’বিঘা পুরোপুরি মরে গেছে। এতে তিনি প্রায় ৫০হাজার টাকা লোকসানের আশংকা করছেন।
পাগলাটায়ী গ্রামের দক্ষিন পাড়ার পেয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি ধারদেনা করে ৩ বিষা জমি বর্গা নিয়ে আগাম আলু চাষ করেছি। কিন্তু প্রতিদিন প্রতিটি গলির ২০ থেকে ৩০টি করে গাছ মরে যাচ্ছে এভাবে মড়ক অব্যাহত থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে আলু ক্ষেত ফাঁকা মাঠ হবে।
মুলধন হারিয়ে মহাজনের দেনার বোঝা বয়ে বেড়াতে হবে।
গদা গ্রামের আনারুল, রেজাউল ইসলাম ফিলিপ, ইসলামাইল গ্রামের আকালু মামুদ আলুর মড়কে দিশেহারা হয়ে পরেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান আলুর মড়কের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,আলুর ক্ষেতে ছত্রাক জাতীয় রোগ দেখা দিয়েছে। বিষয়টি জানার পর থেকে কৃষকদেরকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest