জেলার দ্বিতীয় ঝুকিতে থাকা আগৈলঝাড়ায় বিদেশ ফেরত ৫৩০ জনের হোম কোয়ারেন্টিনে মাত্র ৪০জন

প্রকাশিত: ১১:৩৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২০

জেলার দ্বিতীয় ঝুকিতে থাকা আগৈলঝাড়ায় বিদেশ ফেরত ৫৩০ জনের হোম কোয়ারেন্টিনে মাত্র ৪০জন
মোঃ জহিরুল ইসলাম সবুজ. আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সরকারী তথ্য অনুযায়ি চলতি মার্চ মাসে বিদেশ থেকে আসা ৫৩০ জনের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে মাত্র ৪০জন। বাকী লোকজনের হদিস নেই। যা এলাকার জন্য উদ্বেগজনক হিসেবে দেখছেন সচেতন মহল। এদিকে বিদেশ ফেরত কিছু লোকজনের বাড়িতে গিয়ে ২৪মার্চ প্রশাসন লাল পতাকা টানিয়ে দিয়ে অন্যান্য বাড়ি থেকে আলাদা করার ওই কার্যক্রমও এখন স্থবির হয়ে রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিযাবাত, ইউএনও চৌধুরী রওশন ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আফজাল হোসেনসহ প্রশাসনের লোকজন হাট-বাজারে গণজমায়েত না করার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালালেও বিভিন্ন হাট বাজারে অধিকাংশ খোলা চায়ের দোকানে গণজমায়েত হচ্ছে প্রায় আগের মতোই। প্রত্যন্ত এলাকার চায়ের দোকানগুলো খোলা থাকায় সেখানে নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখেই জমায়েত হচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উপজেলার কয়েকটি চায়ের দোকানে জরিমানা করে দোকান বন্ধ করে টেলিভিশন জব্দ করলেও পরিবর্তন হয়নি ওই সকল বাজারের অন্য চায়ের দোকানগুলোর দৃশ্য। যেন সরকারী নির্দেশ ভাঙ্গার প্রতিযোগীতায় নেমেছে চা ব্যবসায়িরা। সরকারী ছুটিতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়িতে আসা লোকজনও মানছে না সরকারী নির্দেশনা। সরকারী নির্দেশনা মানার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে গঠিত করোনা দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের উদাসীনতাকেই দায়ি করছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা। হাট-বাজারগুলোতে ওই সকল কমিটির নেই কোন নরজদারি। হাট বাজারগুলোতে দেখা মেলেনা দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদেরও। এদিকে করোনা মোকাবেলায় লকডাউন আগৈলঝাড়ায় কর্মহীন হয়ে পড়া দুঃস্থ শ্রমিকদের মধ্যে সরকারী বরাদ্দের চাল এর সাথে জাতির পিতার ভাগ্নে, স্থানীয় এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র ব্যাক্তিগত অর্থায়নে কর্মহীন দুঃস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পাশপাশি থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আফজাল হোসেন ব্যাক্তিগত অর্থায়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মহীন শ্রমিকদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করে আসছেন। দুঃস্থদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ নেতা সাগর সেরনয়িাবাত। মার্চ মাসের দোকান ভাড়া মওকুফ করেছে পয়সারহাট বন্দরের ঘর মালিক রাসেল মিয়া। তবে, এলাকায় সমাজসেবক হিসেবে দাবিদার ব্যাক্তিবর্গ যারা সমাজসেবায় একাথিক ক্রেষ্ট ও সনদপত্র পেয়েছেন এমন ব্যাক্তি, এলাকার ধর্নাঢ্য ব্যাক্তি, সমাজসেবা অধিদপ্তর ও সমবায় অধিদপ্তরের সরকারী সাহায্যপুস্ট এনজিওসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দুঃস্থদের করোনা মোকাবেলায় হাত ধোয়ার জন্য এক পিচ সাবান বিতরণের কোন খবর পাওয়া যায়নি। দেখা মিলছে না স্থানীয় অনেক জনপ্রতিনিধিদেরও। উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, করোনা প্রতিরোধ সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত যে কোন তথ্য এবং শর্দি, জ্বর কাশিসহ সন্দেহজনক যে কোন ব্যক্তিকে সেবা প্রদানের জন্য ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ০১৭৩০-৩২৪৪০৮ নম্বরে একটি হট লাইন চালু করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার কীট এথন পর্যন্ত হাসাপাতালে বরাদ্দ পাননি বলেও জানান তিনি।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest