সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে অবাধে চলাফেরা সামাজিক সুরক্ষা বিঘ্নিত

প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২০

সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে অবাধে চলাফেরা সামাজিক সুরক্ষা বিঘ্নিত
মোঃ হাইরাজ বরগুনা প্রতিনিধি :- প্রণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারী নির্দেশনা মানছে না কেউ। সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে মানুষ ইচ্ছামাফিক চলাফেরা করায় সামাজিক সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে। দ্রুত সরকারী নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। জানাগেছে, বিশ্বাব্যাপী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরায় বাংলাদেশকে রক্ষায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষনা করে সারা দেশের সাথে যান চলাচল বন্ধ করে মানুষকে ঘরের মধ্যে থাকতে নির্দেশ দেয়। একই সাথে জরুরী প্রয়োজনে বাড়ীর বাহিরে বের হলেও সামাজিক সুরক্ষা বজায় রেখে চলাচল করার নির্দেশ দেন সরকার। সরকারের উৎকৃষ্ট পদক্ষেপের কারনে করোনা ভাইরাসের প্রার্দূভাব থেকে নিরাপদে আছে সারধারণ মানুষ এমনটাই দাবী করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন। কিন্তু সাধারণ মানুষ সরকারী নির্দেশনা উপক্ষো করে নিজেদের ইচ্ছা মাফিক অবাধে চলাফেরা করছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে হাজার হাজার লোক জমায়েত হচ্ছে। উপজেলা শহরে কিছুটা সরকারী নির্দেশনা মানলেও গ্রামাঞ্চলে মোটেই মানছে না। গ্রামের চায়ের দোকানে ও রেষ্টুরেন্টে আড্ডা দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে সামাজিক সুরক্ষা। সামাজিক সুরক্ষা বিঘ্নিত হওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে আমতলী ও তালতলী উপজেলার সাধারণ মানুষ। দ্রুত সরকারী নির্দেশনা মানাতে প্রশাসককে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। মঙ্গলবার খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সরকারী নির্দেশনা না মেনে তালতলী কড়াইবাড়িয়া, ছোটবগী, ফকিরহাট, কচুপাত্রা ও আমতলীর আড়পাঙ্গাশিয়া, তালুকদার বাজার, মহিষকাটা, চুনাখালী হাট, ব্রিকস ফিল্ড, গাজীপুর বন্দর, হলদিয়া অফিস বাজার, হলদিয়া হাট, সোনাউডা ও বিশ্বাসের বাজারে লোকজন জমায়েত হয়ে চায়ের দোকান ও রেষ্টুরেন্টে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। তারা সামাজিক সুরক্ষা মানছেন না। তালতলী উপজেলা শহর ও আমতলী পৌর শহরেরও একই চিত্র। প্রশাসনের কঠোর নজরদারীর মধ্যেও সাধারণ মানুষ সরকারী নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সামাজিক সুরক্ষা বিঘ্নিত করছে। আওয়ামীলীগ নেতা জালাল আকন বলেন, সরকারী নির্দেশনা কেউই মানছে না। বাজারে এসে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছে। মাক্স পরছে না। প্রশাসনের কাছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই। কুকুয়া কৃষ্ণনগর গ্রামের আজগর কাজী বলেন, সরকারী নির্দেশনা উপক্ষো করে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে হাজার হাজার লোক জমায়েত হয়েছে। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কেউ যদি চলাচল করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest