=)
আমরা মানুষ। আশরাফুল মাখলুকাতের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। ধর্মী মতে মহান সৃষ্টি কর্তা আমাদের পাঠিয়েছেন তার হুকুমত পালন করতে।
প্রত্যেকটা মাখলুকাত বা সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে পাঠিয়েছেন। যেমন জলে যারা বসবাস করবে তাদের একরকম, আবার স্থলে যারা তাদের একরকম, তেমনি আকাশ বা সৌরজগতের যারা তাদেরটা ভিন্ন রকম। কিন্ত সকল সৃষ্টিই মানব জাতির কল্যাণে মহান কারিগর নিপুন কারুকার্যময় তৈরীকরে এনছান বা মানুষ বানিয়েছেন। আর বলে দিয়েছেন মানুষ ও জিন জাতির মধ্যে সীমত ইচ্ছা শক্তি দিয়েছি, যে ইচ্ছে শক্তি দিয়ে সৃষ্টির কল্যাণ কিংবা অকল্যাণ সাধন করা যাবে। কল্যাণ করলে পুরস্কার এবং অকল্যাণ করলে শাস্তি দেয়ার ষোষণা করেছেন।
কিছু নিশ্চিত হুকুম নিজ হাতে বা নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন সেগুলোর মধ্যে জন্ম, মৃত্যু, রিজিক, ইজ্জত-সম্মান, ধন-দৌলত সহ অনেক কিছুই।
তিনি বলেছেন, আমার যাকে মনচায় সন্তান দেই আবার যাকে মনচায়না তাকে দেইনা, তেমন যাকে মনচায় বাঁচিয়ে রাখি আবার মৃতু দান করি বা উঠিয়ে নেই।
আমরা মানুষ সকলে বিশ্বাস করি উপরের কথাগুলো কারন এগুলো দৈববানী।
সকল সৃষ্টি যখণ আমাদের কল্যাণে কর্মরত তখন আমরা কি তাদের ব্যাপারে যথাযথ দায়িত্ব পালণ করতে পারছি কি?
মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহন করলাম, মানবিক মূল্যবোধ সহিষ্ণুতার ভালবাসা, ধৈর্য, ত্যাগ, মোহ, মায়া কতটুকু বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে পারছি।
মহান সৃষ্টি কর্তা আমাদের কর্মে এতটাই বিরক্ত যে সামান্য বা খালি চোখে না দেখা ভাইরাস যা সৃষ্টি করেছে সৃষ্টির সাথে সাথে এত দিন যা ছিল কল্যাণে আতা আমাদের অকল্যাণে কাজ শুরু করছে তার হুকুমে। এটা বিশ্বাস বা অবিশ্বাস জ্ঞান পরিমান দিয়ে নির্ধারিত হবে।
যে খানে সমগ্র পৃথীবির কৃত্তিম শক্তিশালী রাষ্ট্র সমূহ আত্মসমর্পণ করেছে ঐ আকাশের বাতাসে তথা সকল কিছুর মালিকের চড়নে।
কিন্ত আমাদের মত ধর্মান্ধদেশের অভিবাকরা এটা নিয়ে উচ্চস্বরে যুদ্ধ, বা মোকাবেলা বা প্রতিরোধ করতে সক্ষম যা মহা মালিককে চ্যালেঞ্জ করাকে বুজায়। এটা অকল্যাণের হাত ছানি আরকি।
আবার কিছু মানব কানা বা ধর্মান্ধ কিছু মানুষ বলে বেড়াচ্ছে মুসলমানের এভাইরাস ধরবেনা।
আবার এটা প্রতিকারে জ্ঞানী মানুষ গুলো সৃষ্টি কর্তার কাছে সাহায্য চেয়ে গবেষণা করছে, আর অন্তর থেকে বলছে হে আমাদের মালিক মানব জাতি হিসেবে আমরা বড়ই অন্যায় করেছি। তবুও আপনি রাগান্বিত হবে না। একটা পথ বেরকরার মত শক্তি দিন যাতে আপনার সৃষ্টি সেরা জীবদের সাহায্যে আসে।
আর আমরা এদেশে বাচঁতে চাচ্ছি স্বার্থ পরের মত যা নিন্দনীয় ঃ
১. করোনা শুরুহল মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই দাম বাড়িয়ে দিলাম, যাতে আমি টাকা আয় করে ভাল থাকতে পারি। তার সকলে না কিনতে সামার্থ্য হই।
২. নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিলাম, কেন জানেন আল্লাহ ব্যবসাকে করছে হালাল তাই ব্যবসার বেশি হলেতো ভাল, কিছু ভুলেগেছি ব্যাবসার নামে জুলুমকে করছে হারাম।
৩. প্রবাসীদের জন্য আমরা প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন করতে ব্যার্থ হওয়ার কারনে আর্মি উত্তরা রাজউকের ফ্লাটে প্রবাসিদের কোয়ারেন্টাইন নির্ধারণ করল ঠিকই কিছু স্বার্থনেস্বী বা নিজেবাঁচার দল প্রতিবাদ মিছিল/মানববন্ধন করল। যেখানে সাহায্য করবে সেখানে বাঁধা। একবারও ভাবিনা যে আমাকে করোনায় ধরলে আমি কোথায় থাকব ?
৪. খিলগাঁও করোনায় মৃত ব্যাক্তিদের জন্য সিটিকর্পোরেশনের কবরস্থানে নিরাপত্তায় দাফন করা হবে। ঠিক তখনই প্রতিবাদ/ ব্যানার/ মিছিল । উদ্দেশ্য নিজেরা বাচঁতে চাই অন্যে কি হবে সেদিকে খবর নেই। যেখানে আমরা সাহায্য করব মানিসিক ভাবে, কিন্তু প্রতিবাদ করছি কেন?
৫. দেশের বেসরকারী শিল্প উদ্যোক্তা আকিজ , তাদের নিজস্ব জমিতে করোনায় আক্রান্তদের জন্য অস্থায়ী হাসপাতাল বানাবে ঠিক তখনই বাঁধা ভাংচুর। কারণ এখানে নয় অন্য কোথাও করেন, আমরা নিজেরা ভাল থাকতে চাই। অথচ উচিৎ ছিল একাজে আমাদের স্বেচ্ছাশ্রম সহযোগিতা করা। আর আমরা কি করলাম।
৬. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে দিচ্ছে, ঠিক আমরা আর শাড়ি কোনদিন কি কালার, কতটি পড়েছে তা নিয়ে বিশাল গবেষনা। কিন্তু এটা কি আমাদের করনীয়।
৭. সরকারী ছুটি ঘোষনা হল করোনা মহামারীর জন্য, কিন্তু কি হল আমরা দল বেঁধে স্বপরিবারে গ্রামে গেলাম ছুটি কাটাতে। অথছ ভাবলামই না যে যাত্রা পথে আমরা সংক্রামিত হতে পারি, সেটা গ্রামীন সমাজে ছড়িয়ে পরতে পারে, অথচ আমাদের গ্রামীণ চিকিৎসা ব্যবস্থা অপ্রতুল সেটা বেলুম ভুলে গেছি। এটা কি আমাদের করনীয় ছিল?
৮. উপজেলা/জেলা/ক্লিনিক গুলোতে ডাক্তার আছে ঠিকই কিন্ত চিকিৎসা নেই। সে গুলো করোনার ভয়ে আগেই গুটিয়ে নিয়েছে। তাদের উল্লেখিত কারণ পিপিই নাই। সাধারণ জ্বরে বা সর্দি লোক মারা যাচ্ছে, নাকি ভয়ে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইউরোপে মারা যাচ্ছে করোনা ভাইরাসে আর আমাদের দেশে মারা যাবে করোনা ভাইরাসের ভয়ে বিনা চিকিৎসায়।
মোটা দাগে আমাদের মানুষ হিসেবে এই করোনা ভাইরাসের মহামারী থেকে নিজে ও পরিবার তথা দেশকে বাঁচাতে সরকার বা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বা আইইডিসিআর বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তা ব নির্দেশ গুলো নাই বা মানলাম, কিন্ত মহান সৃষ্টি কর্তার দেয়া মানুষেন বৈশিষ্ঠে ্যর বিধান কতটুকু মেনেছি।
আমাদের কর্মে কি এ জাতিটির ক্ষতি হল না উপকার হল। প্রশ্ন বিবেকের কাছে রইল। শুরুতে বলে ছিলাম মহান সৃষ্টির্কতার হুকুমে সৃষ্টির কল্যাণ করাই তার ইবাদত তাতে তিনি পুরুস্কার দেয়ার কথা বলেছেন, আর অকল্যাণ করলে শাস্তি।
মহামারী হল সৃষ্টিকর্তার দেয়া !
এটি কার জন্য গজব আবার আবার কারও জন্য পরীক্ষা।
এখন ভাবুন আমাদের মহামারীর আগের কর্মকান্ড নাহয় বাদই দিলাম মহামারীর পরে কি অবস্থা তা সামান্য কিছু হেড লাইন উল্লেখ করেছি মাত্র। আমাদের জন্য গজব না পরীক্ষা নির্ধারণ করেনিন।
পরিশেষে বলতে চাই, মহান আল্লাহ আমাদের পিছনের সকল অপরাধ ক্ষমাকরে সৃষ্টি কুলের কল্যাণে আগামী সময় গুলো ব্যয়করার জন্য ক্ষমা করে দিন। সাথে পৃথিবীর যে কোন মানবের মস্তিষ্কে এই মহামারী থেকে বাঁচার ভ্যাকসিন আবিস্কার জ্ঞান দান করুন।
হে আমার প্রতিপালক আপনার হ্বক ও আপনার সৃষ্টির বা বান্ধার হ্বক আদায় করে আপনার নির্ধারিত মৃত্যুর স্বাধ গ্রহন করতে পারি তাহার জন্য কবুল ও মনজুর করে আপনার চড়নে ঠাই দিবেন। আমিন।
কলামিষ্ট :
এইচ এম হাসান আল মামুন (লিমন),
সমাজকর্মী ও নির্বাহী পরিচালক,
দুঃস্থ কল্যাণ সংস্থা- দুকস।
https://www.facebook.com/hasan.lemon/
শেয়ার : ৩৯৮