জরুরী রোগীরা হয়রানীর শিকার, কলাপাড়ায় প্রধান সড়কগুলো অবরোধ, প্রশাসনের দাবী অতিউৎসাহীরা করছে

প্রকাশিত: ৪:৪৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২০

জরুরী রোগীরা হয়রানীর শিকার, কলাপাড়ায় প্রধান সড়কগুলো অবরোধ, প্রশাসনের দাবী অতিউৎসাহীরা করছে
মো. ওমর ফারুক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: নভেল করোনা ভাইরাস আতংকে সারাদেশ এখন লকডাউনে রয়েছে। ফার্মেসী, কাঁচাবাজার, মুদি দোকান ও হাসপাতাল ছাড়া সকল কিছু বন্ধ রাখার জন্য সরকারের তরফ হতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দেশের এ অবস্থায় যে যার অবস্থান হতে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়ার জন্য নিষেধাঙ্গা রয়েছে। জরুরী রোগীদের হাসপাতালে আসার জন্য চলাচল শীথিল রাখা হয়েছে। যেসব এলাকায় করোনা রোগী ধরা পড়ছে সেসকল এলাকা পুরোপুরি লকডাউন করার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। কতিপয় এলাকায় এলাকাবাসী নিজস্ব উদ্যেগে রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে লকডাউনে থাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু অতিব উৎসাহী কিছু মানুষ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করে জরুরী রোগীসহ অন্যান্য জরুরী প্রয়োজনীয় পরিবহনকে বাধার সৃষ্টি করে হয়রানী করছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পৌর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কগুলো অবরোধ করার মত ঘটনা ঘটেছে। যা অত্যান্ত দু:খজনক বলে মনে করছেন অনেকে। শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলাপাড়া পৌর শহরের গোডাউন ঘাট হতে বালিয়াতলী খেয়া ঘাট পর্যন্ত প্রধান সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বড় বড় গাছ ও পিলার রাস্তার উপর ফেলে অবরোধ করে রাখা হয়েছে। এতে উপজেলার লালুয়া ও বালিয়াতলী ইউনিয়ন হতে আসা জরুরী কয়েকজন রোগী ভোগান্তীর শিকার হন বলে জানান। মারুফা নামের এক ডেলিভারী রোগীর স্বামী জামাল প্রশাসনের নিকট প্রশ্ন রেখে বলেন, যদি এভাবে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো অবরোধ করা হয় তাহলে জরুরী রোগী বা পরিবহন চলাচল করবে কিভাবে? তার মতে, যদি এমনটি করতে হয় তাহলে উপজেলার হাসপাতাল বা ফার্মেসীসহ সব কিছু বন্ধ রাখলেই তো হয়। তাহলে আমরা কেউ বের হবো না আর কোথাও যাবোও না। স্থানীয় লোকদের নিকট এভাবে বন্ধ কে করতে বলেছে জানতে চাইলে তারা পৌরসভার লোক করেছে বলে জানান। এবিষয়ে কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, আমি শহরের লিংক রোডগুলো বন্ধ করতে বলেছি। কিন্তু প্রধান সড়ক বন্ধের বিষয়ে তার কোন নির্দেশনা ছিলনা বলে জানান। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। কিছু অতিউৎসাহী লোক এধরনের কাজ করে থাকতে পারে। তবে শহরের প্রধান সড়কগুলো বন্ধ করা ঠিক হয়নি বলে তিনি জানান।

 


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest