মোঃ হাইরাজ বরগুনা প্রতিনিধি :- মরণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় আক্রান্ত সারাবিশ্বের মানুষ। দিনের পর দিন এ ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। লকডাউন হয়ে গেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও বিস্তার লাভ করেছে ভাইরাসটি। এর দ্রুত বিস্তার রোধে দেশটিও লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। ফলে কর্মহীন ও অসহায় হয়ে পরেছে দেশের খেটে-খাওয়া দিনমজুর, অসহায় ও দুঃস্থরা মানুষেরা। বিশেষ দক্ষিবঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা দিনদিন দূর্বিষহ হয়ে উঠছে। দেশের এমন সঙ্কটময় মুহুর্তে দুঃস্থ-অসহায়দের মুখে হাঁসি ফোটাতে বরগুনার তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেন স্বপনের উদ্যোগে উপজেলার ৫০০ পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই কার্যক্রম শনিবার সকাল উপজেলা ছাত্র লীগের অনেক নেতাকর্মী তার সাথে থেকে এ পর্যন্ত ২৭০ বেকার ও হত দরিদ্র পরিবারে মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছে। জানা গেছে, উপজেলা উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেন স্বপনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলার ৫০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এভাবে প্রতিদিন প্রতি ইউনিয়নে ওয়ার্ডে তারা কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবার গুলোতে খাদ্যসামগ্রী পৌছাবেন। এছাড়াও তারা নিজেদের ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও দিয়ে জানিয়েছেন তালতলী উপজেলার ভিতরে যে কোনো ওয়ার্ডের যে কোনো ব্যক্তি খাদ্য সমস্যা হলে আমাদেরকে জানাবেন অথবা তার মোবাইল নং ০১৭১৬৩৬৭৮৪২ জানালে আমরা আপনাদের পরিচয় গোপন রেখে খাদ্য রাতের অন্ধকারে ঘরে পৌছে দেব। এ বিষয় উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেন স্বপন জানান, তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৫০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। তবে এই মূহুর্তে সবচেয়ে কষ্টে আছেন যারা দিন মজুর আয় করে দিনে খায়। তাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় সকল কে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী (চাল,ডাল,লবন, তেল, আলু, সাবান ) বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, যতদিন ক্রান্তিকালীন সময় থাকবে ছাত্রলীগও সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে। একই ভাবে ছাত্রলীগের সকল ইউনিটের নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকার মানুষের পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছি। এবং পাস বর্তী উপজেলায়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া। শ্রদ্ধেয় আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম দেলোয়ার হোসেনের জানাজায়। জারা অংশ গ্রহণ করেছেন, তালতলী বাসির নিরাপত্তার সার্থে, তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার অনুরোধ করেন তিনি।