করোনায় করুনা করলেও কলাপাড়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো অভাবের কারনে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে

প্রকাশিত: ৪:২৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২০

করোনায় করুনা করলেও কলাপাড়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো অভাবের কারনে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে
মো. ওমর ফারুক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের আতংকের কারনে সারাদেশ আজ লকডাউনে রয়েছে। ঘড় হতে বের হতে পারছে না খেটে খাওয়া সাধারন মানুষগুলো। নিত্যরুজি করে যারা জীবিকা নির্বাহ করতো তারা আজ অসহায়ত্ব জীবন কাটাচ্ছে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ প্রক্রিয়া চালূ রয়েছে। যারা লোকলজ্জার ভয় কাটিয়ে ত্রাণের লাইনে গিয়ে দাঁড়াতে পারে তাদের ভাগ্যে এসকল ত্রাণ পৌঁছালেও অনেকেই রয়ে যায় পর্দার আড়ালে। পেটে ভাত নেই তবুও সামাজিকতার ভয়ে ধরতে পারেনা ত্রাণের থলে। নিবৃতে কেঁদে চলে দিনের পর দিন রাতের পর রাত। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হাজার হাজার মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো অভাবের কারনে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। এমনই একজন নারী হলেন কলাপাড়া পৌর শহরের রহমতপুরে বসবাসকারী রোজিনা বেগম। স্বামী সাইদুল ইসলাম বরিশাল শহরের সামান্য একজন খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ। করোনায় লকডাউনের কারনে রুজি-রোজগার বন্ধ হয়ে বরিশালে আটকে রয়েছে। রোজিনা বেগম কলাপাড়া শহরের বিভিন্ন বাসায় বাচ্চাদের কোরআন শিক্ষা দিয়ে যে হাদিয়া পেত তাই দিয়ে কোনমতে দিনপাত করতেন। সর্বনাশা করোনার লকডাউনে আজ সে পথও তার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাতে যা ছিল তাই দিয়ে কিছুদিন কাটলেও এখন অভাব যেনো তার ঘাড়ের উপর উঠে বসেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের রহমতপুর এলাকার কদম মৃধা বাড়ির পাশে লায়লা মঞ্জিলের একটি ছোট্ট ঘরে মাসিক দুই হাজার টাকা ভাড়ায় থাকেন রোজিনা বেগম। জানা যায়, অভাবের কারনে গত দুইমাস যাবৎ ঘড় ভাড়াও পরিশোধ করতে পারেননি তিনি। যদিও ভাড়িওয়ালা এখন পর্যন্ত ভাড়া টাকার জন্য কিছু বলেনি তবুও চিন্তা তো মাথায় থেকেই যায়। তদুপরি, এখন ঘরে খাবার না থাকায় পাশবর্তী ভাড়াটিয়ারা সহযোগীতা করে চালাচ্ছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে। অসহায় রোজিনা জানান, আমি বাড়ি বাড়ি কোরআন শিক্ষা দিয়ে হাদিয়া হিসাবে যা পেতাম তাই দিয়ে কোনমতে দিন কাটাতাম। করোনার কারনে আমার সে পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আমি খুবই অসহায়ত্বের মধ্যে রয়েছি। সহায়তার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি। আনছারি নামের মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন জানান, বর্তমান সমাজে মধ্যবিত্ত হওয়া যেনো একটা অভিশাপ। কাউরে কিছু কইতেও পারিনা আর সইতেও পারছিনা। সরকারের ত্রাণ তহবিল হতে কিছু সহায়তা পেলে কিছুটা হলেও আমরা ভালো থাকতে পারতাম। এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক’র নিকট জানালে তিনি বলেন, কলাপাড়ায় এমন কোন অসহায় মানুষ থাকলে আমাকে জানাবেন। আমি নিজ দায়িত্বে তাদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিব। তিনি অসহায় রোজিনা’র বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন ও ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

 


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest