বরিশালে পানি সম্পদ মন্ত্রীর ত্রানের পন্য সামগ্রী আত্নসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২০

বরিশালে পানি সম্পদ মন্ত্রীর ত্রানের পন্য সামগ্রী আত্নসাতের অভিযোগ
শফিউল আমার কামাল বরিশাল ব্যুরোঃ বরিশালে চলমান করেনাভাইরাসের ত্রানের পন্য সামগ্রী নিয়ে সাধারন জনতা ও অসহায় দুস্ত মানুষের মাঝে বিতরনের জন্য পাশে দাড়িয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রী (সাবেক অবসর প্রাপ্ত কর্নেল) জাহিদ ফারুক। আজ রোজ বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, পানি সম্পদ মন্ত্রী জাহিদ ফারুক তিনি মহামারী করোনাভাইরাসে কারনে অসহায় দুস্ত ৫০ টি পরিবারের মাঝে, প্রতিটি পরিবারকে ৫ কেজি চাল,৩ কেজি আলু, ১কেজি ডাল,১ কেজি পিয়াজ,আধা কেজি সয়াবিন তৈল বিতরনের জন্য, তাহার বিশ্বস্ত সহযোগী ভুলু এবং আলাউদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তবে স্থানীয় সাধারন মানুষের মাধ্যমে অভিযোগ পাওয়া যায় যে, ভুলু ও আলাউদ্দিন ত্রানের পন্য সামগ্রি নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম করেন তারা, যেমন তাহাদের নিজ বাড়িতে কতিপয় শুধু চাল দিয়েছেন। আবার তাহাদের নিজেদের আত্নীয়দের মধ্যে কয়েক জনকে চালের সাথে ডাল ও আলু দিয়েছেন। এই সংবাদ পেয়ে সোমবার সকালে স্থানীয় সবুজ,কবির ও সালাম ঐ পন্য সামগ্রি ফেরত দিয়ে এসেছেন। ত্রান সামগ্রী পাওয়া স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন যে, প্রতিমন্ত্রীর বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে পরিচিত ভুল ও আলাউদ্দিন আমাকে মাত্র ৫ কেজি চাল দিয়েছে। বিতরন নিয়ে আমাদের সাথে চরম প্রতারণা করেছে তারা। বিষয়টি নিয়ে মতাসার ও বিল্লো বাড়ি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ইতি মধ্যে এর আগে অনেক পত্র, পত্রিকায় লেখা লেখি হয়েছে। ইতিমধ্যে পরে ভুলুর ছদ্ম ছায়ায় আলাউদ্দিন মতাসার এলাকায় ব্যাপক ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। এলাকা বাসি আরো অভিযোগ করে বলেন যে, আলাউদ্দিন এক সময় সাইকেল চালিয়ে দোকানে দোকানে হকারি করতেন। বর্তমানে ভুলুর ছদ্ম ছায়ায় আলাউদ্দিন অনেক সম্পদের মালিক হয়েছে। তাই স্থানীয় সাধারন জনগন দাবি করেন যে, বর্তমান পৃথিবী জুড়ে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারনে ইতি মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ প্রধান করেন যে, অসহায় দুস্ত ও গরিবের ত্রান আত্নসাধ কারির কোন অভিযোগ পেলে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না সে যেই হোক। তবে ভুলু ও আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে গরিব ও অসহায় দুস্ত মানুষের ত্রানের পন্য সামগ্রি আত্নসাতের অভিযোগ পাওয়া সত্যে ও কেন তাহাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক ও উর্ধতন কর্মকর্তাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest