চাল চুরি ধরতে গিয়ে বিপাকে সাংবাদিক

প্রকাশিত: ১০:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২০

চাল চুরি ধরতে গিয়ে বিপাকে সাংবাদিক

শফিউর রহমান কামাল, বরিশাল ব্যুরো: বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নে চলতি বছরের গত ২৫ মার্চ সরকারি চাল চুরির সময় তা গোপনে ক্যামেরা বন্দি করেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল আলোকিত সময় ও জাতীয় দৈনিক একুশে সংবাদ এর উজিরপুর প্রতিনিধি। এ ঘটনার পর ইউপি সদস্য ফারুক ১৮ এপ্রিল ওই সাংবাদিককে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। ঘটনার সময় চোরদের হুমকির মুখে সংবাদ প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। স্হানীয় চেয়ারম্যান ডাক্তার হরন রায় ও তার গুন্ডা বাহিনীর হুমকিতে গৃহবন্দি হয়ে পড়েন সেই সাংবাদিক। পরদিন সকালে ওই চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফোন দিয়ে বলেন, তোকে মাটিতে পুতে ফেলবো। ওই চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য সাংবাদিকদের নিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ করে এবং পূর্বে কিছু সাংবাদিকের করুন পরিনতির কথা তাকে মনে করিয়ে দেয়। হরন চেয়ারম্যান ও তার সাংঙ্গ পাঙ্গদের ভয়ে ওই সাংবাদিকরা গত ৩/৪ সপ্তাহ ধরে আত্মগোপনে রয়েছেন । সিনিয়র সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানাতে চেষ্টা করেও জানাতে পারেনি। কারণ করোনা সংকটে বরিশাল জেলার সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করছে। সাংবাদিক অভিযোগ করে বলেন, আমি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি উজিরপুর হারতা বন্দরের দোকানদার অমল সাহা, তার পুত্র শিপসংকর সাহা তার নিজ ঘরে রাতের আঁধারে ১০ টাকা দরের চাল কিনে লুকিয়ে রেখেছেন। পরে আমি হারতা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আজমল হোসেনকে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবহিত করি। বিষয়টি জানানোর পর তিনি পুলিশ ফোর্সদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং হারতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শুনিল বিশ্বাসের বাসার পাশের বাড়ির সেও তখন ঘটনাস্থলে ছিল। তখন আমি উজিরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুর রহিমকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই। পরে শুনিল বিশ্বাস ফারুক হোসেন তালুকদারকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানেন। কিছুক্ষন পরে ইউপি সদস্য ফারুক ঘটনাস্থলে আসেন এবং বলেন, এটি কাবিখার চাল। তার বিক্রি করা ঠিক আছে।এরপর তিনি ও চেয়ারম্যান ডাক্তার হরন রায় আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পুলিশ ফোর্সদের নিয়ে তারা চলে যায়। আমাকে বিভিন্ন ধরনের মামলা ও হামলা করার হুমকি দেয়। আমি বাড়িতে ফিরে আসলে পরিবারের লোকজন বলে যে, চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য তোমাকে বিভিন্ন রকমের মামলা দিবে এবং বিষয়টি তোমার জীবনের অনেক ঝুঁকি। এ নিয়ে আর কথা বাড়াবা না। পরে আমি আমার পরিবারের কথা বিবেচনা করে চুপ হয়ে যায়। বিষয়টি আমি আমার অফিস কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে রেখেছি। আজ অবধি বিষয়টি নিয়ে অনেক হুমকি আসছে। তাই আমি নিজেকে অনেক অসহায় মনে করছি। এমতঅবস্থায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার জীবনের বিশেষ নিরাপত্তা চেয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest