আগৈলঝাড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালে ৩০ কেজির বস্তায় ৩ কেজি উধাও

প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২০

আগৈলঝাড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালে ৩০ কেজির বস্তায় ৩ কেজি উধাও
মোঃ জহিরুল ইসলাম সবুজ আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলাবাজারে বিক্রির জন্য (ওএমএস) ১০ টাকা দরের চাল প্রতি বস্তায় থাকার কথা ৩০ কেজি। সেখানে রয়েছে ২৭ কেজি করে। প্রতি বস্তায় তিন কেজি করে উধাও। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ডিলারের বিরুদ্ধে বস্তাপ্রতি তিন কেজি করে চাল কম থাকার অভিযোগ চাল বিক্রয় বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা নির্বহী কর্মকর্ত। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএসের) আওতায় হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরে ৩০০ টাকায় ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা ওই ইউনিয়নের ৪১৮ জন হতদরিদ্রদের। উপকারভোগীদের কয়েকজন চাল কিনে অন্য দোকানে মেপে পরিমাণে কম পেয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ট্যাগ অফিসার একাডেমীক সুপারভাইজার প্রান কুমার ঘটক ৪০০ বস্তা চাল মেপে ওজনে কম পাওয়ায় রাজিহার ইউনিয়নের ডিলার স্বপন বাড়ৈ’র চাল বিক্রয় বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তার নির্দেশে। এলাকার বিক্ষুপ্ত জনতা ওই ডিলারের চালের গোডাউন বন্ধ করে দিয়েছে। রাজিহার ইউনিয়নের ডিলার স্বপন বাড়ৈ উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান মলিনা রানী রায় এর মেয়ে জামানতা হওয়ার কারনে উপজেলা প্রশাসন কোন ব্যাবস্থা নেয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ওই এলাকার জনগন । এব্যাপারে স্বপন বাড়ৈ জানায়, আমাকে যখন চালের বস্তা দিয়েছে তখন আমি মেপে রাখি নাই। আমাকে যেভাবে দিয়েছে আমি সেই ভাবে বিক্রয় করেছি। উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশর ইসলাম জানান, ওই ডিলারের যেসব চালের বস্তায় কম রয়েছে সেসব বস্তায় ৩০ কেজি পূর্ণ করে উপকারভোগীদের কাছে বিক্রি করতে ওই ডিলারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest