ঢাকা ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
ইরফান সুজন।| হাজার হাজার বছর আগেও পৃথিবীতে মানুষ তেল ব্যবহার করত। মূলত মিসর ও চীনে সে সময় তেলের ব্যবহার হতো চিকিৎসার কাজে। সেটি ছিল মাটি থেকে উপচে ওঠা তেল। চীনেই প্রথমে মাটিতে ছিদ্র করে পাইপের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ তেল বের করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেই যন্ত্রের সাহায্যে ভূগর্ভের বেশি নিচে যাওয়া যায়নি। সঠিক কারিগরিভাবে ড্রিলিং যন্ত্রের সাহায্যে প্রথমে তেল উত্তোলন করেন ফায়দোর সিমিয়োনত নামের এক প্রযুক্তিবিদ। সেটি ছিল ১৮৪৬ সাল। অধুনা আজারবাইজানের বাকু শহরের কাছে এই ড্রিলিং যন্ত্রটি বসান হয়েছিল। প্রথম তেল উত্তোলনের ড্রিল মেশিনটির নিচে প্রায় ৯০ ফুট পর্যন্ত ছিদ্র করে তেল বের করা হয়েছিল। পরবর্তী কালে ১৮৫৮ সালে উত্তর আমেরিকায় আরও বড় তেল কূপ খনন করা হয়। প্রথম দিকে তেলের ব্যবহার হতো শুধু বাতি জ্বালানোর কাজে। কিন্তু পরবর্তী কালে গাড়ি, জাহাজ বা অন্য কোনো ইঞ্জিন চালানোর জন্য তেলের ব্যবহার শুরু হয়। ধীরে ধীরে তেল পরিণত হয় একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানিতে। ফলে তিমি মাছের তেল বা রেড়ির তেলের ব্যবহার কমে যায়। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর কোথায় তেল আছে তা আয়ত্তে এনে পৃথিবীতে তেল তোলার ব্যাপক খননকার্য শুরু হল। পৃথিবীতে যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি তেল পাওয়া যায় সেগুলো হল, সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, নাইজেরিয়া, ভেনিজুয়েলা, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কানাডা। এসব দেশে অজস্র তেলের খনি আছে। মনে রাখতে হবে, মাটি খনন করে আমরা যে কালো তেল পাই সেটা ক্রুড তেল তথা অপরিশোধিত তেল। সেটা সরাসরি ব্যবহার করা যায় না। এ র মধ্যে নানা উপসামগ্রী আছে যেগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। এই অপরিশোধিত তেল পাইপ লাইনের সাহায্যে অথবা জাহাজে করে শোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপরিশোধিত তেল থেকে যা তৈরি হয় * প্রায় ৫০ শতাংশ পেট্রোল। * প্রায় ১৮ শতাংশ ডিজেল। * প্রায় ১২ শতাংশ ডিজেলের জ্বালানি। * বাকি ২০ শতাংশ থেকে রাস্তার নির্মাণ সামগ্রী, প্লাস্টিক, লুব্রিকেন্ট, চলতি ভাষায় যাকে মোবিল বলা হয়।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST