শামসুল কাদির মিছবাহ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি | কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ইতোমধ্যে ৬৫ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে হাওর অঞ্চলে। সুনামগঞ্জসহ অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ৭৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও করোনা পরিস্থিতি সামনে রেখে সরকারি তৎপরতায় কৃষকরা দ্রুত সময়ে ধান কাটতে পেরেছেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে প্রায় ৪ শ’র অধিক হারভেস্টার মেশিন প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একেকটি মেশিন ২১ লাখ টাকা ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের দেয়া হয়েছে। বুধবার সকালে সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার সাংহাই হাওরে কৃষকদের মধ্যে হারভেস্টার মেশিন প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, এবার কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকার সুযোগ নেই। সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে। সরকারি ধান ক্রয় কার্যক্রমে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা কেউ করবে না। বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে। লেনদেন হচ্ছে অ্যাপস এর মাধ্যমে, সুতরাং দুর্নীতির সুযোগ থাকবে না। মন্ত্রী বলেন, আমি হাওরে কৃষকের মুখে হাসি দেখেছি। কৃষকরা সুন্দরভাবে ঘরে ধান তুলতে পারলে করোনার দুর্ভিক্ষ কাটিয়ে উঠতে পারবেন। ৪% হারে কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করেছে সরকার জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, হাওর এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে যেসব কৃষক বা শ্রমিক বজ্রপাতে মারা যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আগে যেটি ছিল ২০ হাজার টাকা। হাওর অঞ্চলে আগাম বন্যার বিষয়টি মাথায় রেখে দ্রুত ধান কাটা চলছে। ইতিমধ্যেই ৭৫% ধান কাটা হয়ে গেছে। বাকিটাও কাটা হয়ে যাবে বলেই আশাবাদী। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় এমপি মহিবুর রহমান মানিক, এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, বিরোধী দলীয় হুইপ অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি শামীমা খানম, সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন প্রমুখ।