ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:১১ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২০
মাহমুদুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী পুরাতন লাঙ্গলবাঁধ বাজার ঘেঁষে গড়াই নদী। তিন জেলার সীমানা অঞ্চলের শেষপ্রান্তে অবস্থিত গ্রামীণ জনপদে গড়ে ওঠা শৈলকুপার লাঙ্গলবাঁধ বাজারটি এখনো বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত।
বাজার কেন্দ্রিক অনেক ধনিক বনিকের বসতি ও বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রয়েছে বহু বিতর্ক। বিশেষ করে শ্রীপুর থানার গয়েশপুর ইউনিয়নের আংশিক জায়গাজমি ও তাদের বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নানা ভালমন্দের সাথে জড়িত স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। শৈলকুপার গুনি-সুধিজন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বাজারটি সমৃদ্ধ করতে যুগে যুগে গড়ে তুলেছে বহু স্থাপনা, পুলিশ ক্যাম্প, স্কুল-কলেজ, ব্যাংক-বীমা ও মেডিকেল প্রাইভেট সেন্টার, মসজিদ-মন্দিরসহ হাটবাজারের প্রয়োজনীয় পরিবেশ। তবে পাশ্বর্বর্তী গয়েশপুর ইউনিয়নের খতিয়ানভূক্ত একাংশে অবস্থিত ব্যবসায়ীগণ প্রায়ই স্থানীয়দের সাথে জড়িয়ে পড়েন নানা বাকবিতন্ডায়।
বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাঁধে সংষর্ঘ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। লাঙ্গলবাঁধ ক্যাম্প পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার শৈলকুপার নতুনভুক্ত মালিথিয়া গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ী সুজনের উপর গয়েশপুর ইউনিয়নের চাকদা গ্রামের জেনারেল ও রুবেলের নেতৃত্বে মিতুল, ইমারুল সহ বেশ কয়েকজন জমি বিরোধের জের ধরে হামলা করে।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানায় মামলা হয়েছে। মামলা প্রত্যাহার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের হুমকি দিয়ে আসামীরা মঙ্গলবার সকালে গয়েশপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল হালিমের কর্মী সমর্থকেরা দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়। মুহুর্তে খবর ছড়িয়ে পড়লে লাঙ্গলবাঁধ বাজারকেন্দ্রিক আশপাশের কয়েক গ্রামের লোকজন দেশীয় ঢাল-সড়কির মহড়া দেয়।। এক পর্যায়ে শৈলকুপা ও শ্রীপুর থানা থেকে প্রায় অর্ধশত পুলিশ বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ সময় শৈলকুপা সার্কেল এসপি আরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি উভয় থানার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে বিরোধ মিমাংসার চেষ্টা করছেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান ও শৈলকুপা থানার ওসি বজলুর রহমানসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST