ঘৃণা নয়,ভালোবাসা আর ক্ষমাই পারে জীবনটাকে বদলে দিতে

প্রকাশিত: ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ, মে ১৯, ২০২০

ঘৃণা নয়,ভালোবাসা আর ক্ষমাই পারে জীবনটাকে বদলে দিতে
মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান |
চীফ রিপোর্টার |
১৮ ই অক্টোবর ২০০৮ সালে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, নলিনী-র সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। নলিনী রাজীব গান্ধী হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে একমাত্র ধৃত এবং জীবিত আসামী। নলিনী তখন গর্ভবতী। সোনিয়া গান্ধী, লিখিত আকারে, নলিনী-র ফাঁসির বদলে, যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আবেদন জানান। যাতে নলিনী-র সন্তান মায়ের স্নেহ মমতা থেকে বঞ্চিত হয়ে না পড়ে। ১৭ বছর অতিক্রান্ত। নলিনী স্বপ্নেও ভাবেননি, তার সঙ্গে রাজীব গান্ধীর পরিবারের কেউ সাক্ষাত করতে পারেন। তার খোঁজ-খবর নিতে পারেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দেখে, নলিনী অবাক,, ভীষণ লজ্বিত বোধ করলেন। প্রিয়াঙ্কা নলিনী-কে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন -“আমার পিতা একজন ভালো মানুষ ছিলেন। ভীষণ শান্ত প্রকৃতির মানুষ। আমার পিতা তোমার তো কোনো রকম ক্ষতি করেননি। তাহলে তাঁকে কেন হত্যা করতে গেলে ? তোমাদের কি এমন সমস্যা ছিলো ,যেটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত না ? প্রিয়াঙ্কার চোখে অশ্রুধারা,, নলিনী ও অঝোর নয়নে কেঁদে চলেছেন। এই কান্নার দ্বারা বহু ক্ষোভ, বহু হিংসা স্রোতের মতো প্রবাহিত হয়ে চলে গেলো। দুজনের মনটা হালকা এবং কোমল হয়ে উঠলো। গান্ধী পরিবার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নলিনী-কে মুক্ত করে দিলেও, তাদের কোনো আপত্তি নেই। বিষয়টা আদালতে বিচারাধীন। আদালত এবং রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই কার্যকর হবে। ঘৃণা, হিংসা, বিদ্বেষ, এগুলোর স্থায়িত্ব ক্ষনিকের। কিন্তূ প্রেম, প্রীতি, ভালোবাসা, এগুলো আদি এবং অনন্তকাল পর্যন্ত মানুষের হৃদয়ে গেঁথে থাকে। ক্ষমা হলো, পৃথিবীর সর্বোত্তম উপহার। কেবলমাত্র মহান মানুষই পারেন, শক্রুকে ক্ষমা করে দিতে।এমন বহু ঘটনা ঘটে গেছে পৃথিবীতে। যে ঘটনা ইতিহাসের পাতায় সোনর অক্ষরে লেখা থাকবে। আমরা সকলেই চলে যাবো। কিন্তু এরা আমাদের পরবর্তী জেনারেশনের হৃদয়ে অমর হয়ে থেকে যাবেন। যুগ যুগ ধরে। কেবলমাত্র ক্ষমাশীলতার কারনে।

alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest