বাগেরহাটের চিতলমারীতে মাহমুদ হত্যার ২০ দিন অতিবাহিত হলেও আসামীরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে

প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২০

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মাহমুদ হত্যার ২০ দিন অতিবাহিত হলেও আসামীরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে
মোঃ সাগর মল্লিক বাগেরহাট প্রতিনিধি :- বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় গত ৩০ এপ্রিল নিখোঁজের দুইদিন পর খাল থেকে মাহমুদ শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছিল চিতলমারী থানা পুলিশ। ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের বাকেরকান্দির এলাকার খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত মাহামুদ শেখ বাকেরকান্দি গ্রামের বজলু শেখের ছেলে ও কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ নং ওয়র্ডের একজন নেতা। মৃতের পরিবার এটাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেছে। এ ঘটনায় চিতলমারী থানা পুলিশ, বাগেরহাট পিবিআই ও ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,গত ২৭ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে বাকেরকান্দি গ্রামের বজলু শেখের ছেলে মাহমুদ শেখ নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর থেকে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে বাকেরকান্দি খালের একটি ভেসালের খুঁটির কাছে মাহমুদের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। মৃত মাহামুদের ঐষি নামের পাঁচ বছর বয়সের একটি মেয়ে ও আলিফ নামের ৫ মাস বয়সের একটি ছেলে রয়েছে। এদিকে হত্যাকান্ডের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও আসামীরা ধরা ছোয়ার বাহিরে। জানা যায়, নিহতের স্ত্রী পপি বেগম বাদী হয়ে চিতলামারী থানায় ১৫৪ ধারায় ৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মৃত মাহামুদের মা হামিদা বেগম, বোন কহিনুর বেগম ও স্ত্রী পপি বেগম সাংবাদিকদের জানান, এলাকার কয়েক ব্যাক্তির সাথে মাহামুদের বিরোধ চলে আসছিল। পরিকল্পিত ভাবেই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা এই হত্যার বিচার দাবি করেন। নিহত মাহমুদের ৫ বছরের মেয়ে ঐশি ও তার বাবার হত্যাকারীদের ফাসি চেয়েছে। এ ব্যাপারে কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিকদার মতিয়ার রহমান ও কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বাদশা মিয়া শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নিহত মাহামুদ ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ। মাহামুদ কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে একজন কাউন্সিলর ও ৬ নং ওয়ার্ডের নেতা ছিলেন। চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর শরিফুল হক সাংবাদিকদের জানান, নিখোঁজের দুইদিন পর খাল থেকে মাহমুদের লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছিলাম। আমরা সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টায় আছি, আশা করি খুব দ্রুতই সকল আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হব। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আলাউদ্দিন বলেন,৮ জন আসামীর ভিতর আমরা ইতিমধ্যে ১ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।এবং অাসামীর জবানবন্দি নিয়েছি।অাসামী নিজ মুখে হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক বর্ননা দিয়েছে।এবং কারা কারা এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সেটাও সে স্বীকার করেছে।তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক খুব দ্রুত বাকী আসামীদের ও আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest