সাংবাদিক নেতা ও সাংবাদিক -গোলাম ফারুক মজনু

প্রকাশিত: ১:০০ পূর্বাহ্ণ, মে ২৫, ২০২০

সাংবাদিক নেতা ও সাংবাদিক -গোলাম ফারুক মজনু
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। এই দুর্যোগের মুহূর্তে সকলে সাবধানে থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সংবাদ সংগ্রহের কাজ করবেন। দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আমরা ঘরে বসে আছি, এক প্রকার কর্মহীন ভাবে জীবন যাপন করে আসছি। আমি এটাও জানি একজন স্বচ্ছ সাংবাদিকের আয় কতটুকু, আর সেটা দিয়েই তার পরিবার- পরিজনকে নিয়ে জীবন যাপন করেন থাকেন। গণমাধ্যম বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভরশীল, সেটা দিয়েই সংবাদকর্মীদের বেতন ভাতা প্রদান করা হয় আর সেই বিজ্ঞাপন বিভাগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা, একজন সাংবাদিককে কলম ধরতে হলে অবশ্যই তাকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হয়। হাজার হাজার মানুষ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে সাংবাদিকতা করে আসছেন। কিন্তু অন্যান্য পেশায় শিক্ষার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। অশিক্ষিত হলে কেউ সাংবাদিকতা করতে পারে বলে আমার জানা নেই। অন্যসব সাধারণ মানুষের মতই এদের পরিবার, বংশ, মান- সম্মান সবই আছে। এরা কেউ ভাতের অভাবে সাংবাদিকতা করতে আসিনি। আমার মনে হয় বেশিরভাগ সাংবাদিকরাই লেখালিখি শখের বিষয় করতে এসেছেন, এই শখ একটা সময় নেশা হয়ে গেছে, আর নেশা এখন পেশা। সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির জন্য যতটুকু করে যাচ্ছেন সেটা নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবিদার। গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যমকর্মী রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে আসছে। অনেকে বিভিন্ন পেশা থেকে এসে এই পেশাকে কলঙ্কিত করার চেস্টা করছে। প্রিয় সাংবাদিক নেতারা, প্রত্যেকটি ভালো পেশাতেই অতিরিক্ত কিছু সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য মানুষ সংগঠন করেন। সাংবাদিকরাও সে রকম বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, বাড়তি কিছু সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্যই সংগঠন করেন। মনে রাখবেন সংগঠন থেকে সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাশা করা মানে এই না যে সংগঠন থেকে ভিক্ষা প্রার্থনা করা। আপনারা যারা সাংবাদিক নেতা আছেন, তারাই সাধারন সাংবাদিকদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াবেন, এটাই ছিল আমাপনাদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু আপনারা যদি আমাদের কোন উপকার না করতে না পারেন, আশাকরি কোন ক্ষতি করবেন না। আমাদেরকে নিয়ে তামাশা করবেন না। আমাদেরকে অপমান করবেন না। আপনারা যারা সাংবাদিকতা কে নিয়ে তামাশা করছেন, দয়াকরে তামাশা বন্ধ করুন। এ পেশাকে কলঙ্কিত করিয়েন না। সাংবাদিকদের নিয়ে আর খেলবেন না, এদের নিয়ে নোংরা রাজনীতি করার বন্ধ করুন। প্রিয় নেতা, আসলে এই মুহূর্তে এ ধরনের লেখালেখির কোন মন মানসিকতা বা ইচ্ছা আমার ছিল না। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের ব্যবহার আমাকে ব্যথিত করেছে, হতাশ করেছে। কোনো সাংবাদিককে ১০০ টাকা বা সাহায্যের নামে তামাশা সেটা আসলেই কষ্টদায়ক। দুই কেজি চাল, হাফ কেজি তেল, হাফ কেজি চিনি দিয়ে ছবি তুলে সেটা আবার পত্রিকায় প্রকাশ করেন। তখন গৃহিতার কাছে লজ্জার আর অপমানের কিছু বাকি থাকে না। সংবাদকর্মীরাও তো মানুষ? এদের সমাজে মান সম্মান বলতে কিছু আছে! যারা এ ধরনের কর্ম করিতেছেন আশা করি এগুলো বন্ধ করবেন। আপনারা নেতা আপনাদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা, ভালোবাসা রেখেই বলছি একজন শিক্ষিত মানুষের প্রতি আপনাদের এই আচরণ শোভা পায় না। প্রিয় বন্ধুরা, আমার লেখায় যদি কেউ কষ্ট কোন প্রকার কষ্ট পেয়ে থাকেন দয়া করে নিজ গুনে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। সেই সাথে দেশে যারা বিত্তবান আছেন, তাদের কাছে অনুরোধ রাখবো আপনার প্রতিবেশী যারা অসহায় কর্মহীন ভাবে আছেন তাদের প্রতি আপনি লক্ষ্য রাখুন। যারা মধ্যবিত্ত আছেন লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারতেছেন না তাদের খোঁজ খবর রাখুন। ত্রাণ দাতা হোন, বিজ্ঞাপনদাতা হবেন না। ইনশাআল্লাহ আমরা এই দুর্যোগ খুব শীঘ্রই কাটিয়ে উঠতে পারো হলো বিশ্বাস রাখি। নিরাশ হবেন না, ভরসা রাখুন, মুক্তির ফায়সালা আল্লাহ তাআলা নিশ্চয়ই করে দিবেন। মহান আল্লাহ তাআলা রব্বুল আলামীন আমাদের প্রত্যেককে ক্ষমা করে দিন। সবাই ভাল থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সম্মিলিত সাংবাদিক পরিষদের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
#ঈদ_মোবারক! #ঈদ_মোবারক!! #ঈদ_মোবারক!!!
ধন্যবাদসহ-
গোলাম ফারুক মজনু নির্বাহী সম্পাদক,
বিপ্লবী জনতা।
সিনিয়র সহ-সম্পাদক,
ম্মিলিত সাংবাদিক পরিষদ (এসএসপি)।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest