পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধিঃ
সামান্য বৃষ্টিতেই পানিবন্দী বরিশাল নগরীর অনেক সড়ক ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানার পূর্বতন কিছু দিন তীব্র দাবদাহে কষ্ট ভোগ করেছে বরিশাল নগরবাসী। গত সপ্তাহের বুধবারে ঝড়ের আঘাতের পর কমে আসে বায়ুমন্ডলের তাপ। গত সোমবার থেকে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোয় পুনরায় জারি করা হয় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত। এসময় দমকা বাতাস ও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে নদীর পানি খানিক উচ্চতায় বয়ে যাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছিলো। এরই মধ্যে আজ বুধবার ভোর থেকে রয়ে রয়ে মুসলধারে বৃষ্টি হয়েছে বরিশাল নগরীতে। যা বেলা ১২টার দিকে থেমে যায়। এমন বৃষ্টিতে স্বস্তি এসেছে গরমে কষ্ট পাওয়া নগরবাসীর মাঝে। কিন্তু এই সামান্য বৃষ্টিতেই নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোয় পানি জমে গেছে। অনেক এলাকার অভ্যন্তরীন সংযোগ সড়ক ও কাঁচাপাকা রাস্তাতেও পানি আটকে কাদাজল হয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এটুকু বৃষ্টিতেই এই এমন পানি জমে যাওয়ায় সামনে ঘোর বর্ষা এলে দুর্ভোগে পড়ার আশংকা করছেন অনেকে। পানিবন্দী অবস্থার মধ্যে কোনো কোনো এলাকা বিদ্যুৎহীন হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি আরো বেড়েছে। আজ বুধবার দুপুরে নগরীর নবগ্রাম রোড, নথুল্লাবাদ, রূপাতলী কাঁচাবাজার, চৌমাথা ও আশপাশের এলাকায় গিয়ে রাস্তায় পানি জমে থাকার চিত্র দেখা গেছে। নগরবাসী বলছেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সক্রিয় করা ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরে প্রবাহিত খালগুলো পানি প্রবাহের উপযুক্ত না করা গেলে বর্ষার দিনে পানি জমে নগরীর নিচু অঞ্চলের বসত বাড়িতেও উঠতে পারে। জমে থাকা পানির ফলে বাড়তে পারে মশার প্রকোপ। যে কারণে ডেঙ্গুর বিস্তৃতি নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। বৃষ্টিতে জমা কাঁদাজল ভেদ করে রূপাতলী কাঁচাবাজার এলাকায় বাজার করতে আসেন ২৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হারুনর রশীদ। তিনি নাগরিক বার্তাকে জানান, ড্রেনগুলোর ভেতরে ময়লা জমে গেছে এবং সিটি করপোরেশন এলাকার খালগুলো অনেক জায়গাতেই দখল ও আবর্জনামুক্ত নয়। যে কারণে বৃষ্টি হলে পানি দ্রুত সরে যেতে পারে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিলে আসন্ন বর্ষাকালে নগরবাসীর ভোগান্তি কমবে।