সরকারি হাইস্কুলে ভর্তিতে এবার নতুন পদ্ধতির প্রশ্নপত্র করা হবে

প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০১৯

সরকারি হাইস্কুলে ভর্তিতে এবার নতুন পদ্ধতির প্রশ্নপত্র করা হবে

আলোকিত সময় ডেক্সঃ সৃজনশীল বা রচনামূলক প্রশ্নের পরিবর্তে অল্পকথায় বা এককথায় উত্তর দেয়ার মতো প্রশ্ন থাকবে।  এবারও দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করা হবে সরাসরি লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে।এছাড়া থাকবে শূন্যস্থান, টেবিল/চার্ট, সমস্যা সমাধান/ধাঁধা ইত্যাদি। এ বিষয়ে বিস্তারিত দৈনিক শিক্ষার ফেসবুক লাইভ ও ইউটিউবে দেখবেন।

মাউশি অধিদপ্তরের  পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান জানান, শিক্ষার্থী মূল্যায়নে অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রশ্নপদ্ধতিতে এই পরিবর্তন আনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কেননা সৃজনশীল বা রচনামূলক উত্তরের ক্ষেত্রে নম্বর প্রদানে পরীক্ষকভেদে ভিন্নতা হতে পারে। প্রশ্ন নির্দেশিকা ইতিমধ্যে সারা দেশে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভর্তির সুবিধার্থে ঢাকার স্কুলগুলোকে এবারও তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আবেদন একসঙ্গে নেয়া হলেও পরীক্ষা হবে তিন ভাগে। এর মধ্যে ‘ক’ গ্রুপের স্কুলের পরীক্ষা ১৮ ডিসেম্বর, ‘খ’ গ্রুপের ১৯ এবং ‘গ’ গ্রুপের পরীক্ষা ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এবারও ভর্তিতে প্রথম ও নবম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে না। প্রথম শ্রেণিতে লটারি আর নবম শ্রেণিতে জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির লটারি করা হবে ২৪ ডিসেম্বর। ঢাকার বাইরের স্কুলগুলোয় উল্লিখিত সময় অনুযায়ী আবেদন নেয়া হলেও পরীক্ষা স্থানীয়ভাবে নির্ধারিত তারিখে নেয়া যাবে। এক্ষেত্রে জেলায় ডিসি এবং উপজেলায় ইউএনও’র নেতৃত্বে প্রস্তাবিত কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।

রাজধানীর ৩৯টি সরকারি হাইস্কুলে ১ ডিসেম্বর ভর্তির আবেদন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। অনলাইনে ১৪ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ঢাকার বাইরে আরও প্রায় ৩০০ সরকারি হাইস্কুলে একই সময়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সোমবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

এবারও দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করা হবে সরাসরি লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে।

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দ্বিতীয়-অষ্টম শ্রেণির শূন্য আসনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমান ৫০, এর মধ্যে বাংলা ১৫, ইংরেজি ১৫, গণিত ২০ নম্বর। ভর্তি পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা। চতুর্থ-অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমান ১০০। এর মধ্যে বাংলা ৩০, ইংরেজি ৩০, গণিত ৪০ নম্বর থাকবে। ভর্তি পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা।

রাজধানীর ৩৯টি হাইস্কুলে এবং তিনটি স্কুলের মধ্যে (তিনটি) ফিডার শাখার বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ৪২টি হাইস্কুল সমানভাবে ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ গ্রুপে ১৪টি করে ভাগ করা হয়েছে। এবারও রাজধানীর মোট ১৬টি হাইস্কুলে প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাকি স্কুলগুলোর কোনোটি দ্বিতীয় আবার কোনোটি তৃতীয় বা ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এবার প্রথম শ্রেণিতে প্রায় ২ হাজার এবং অন্য শ্রেণিতে প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী নেয়া স্কুলগুলো হচ্ছে- আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধানমণ্ডি গভ. ল্যাবরেটরি উচ্চবিদ্যালয়, ধানমণ্ডি গভ. বয়েজ উচ্চবিদ্যালয়, ধানমণ্ডি গভ. বয়েজ উচ্চবিদ্যালয়ের ফিডার শাখা, তেজগাঁও বালক উচ্চবিদ্যালয়, তেজগাঁও বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মতিঝিল বালক উচ্চবিদ্যালয়, খিলগাঁও সরকারি হাইস্কুল, খিলগাঁও সরকারি হাইস্কুলের ফিডার শাখা, নারিন্দা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত উচ্চবিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও গণভবন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম শ্রেণিতে আসন দেড় হাজারের কিছু বেশি। প্রথম শ্রেণির ভর্তিতে শিক্ষার্থীর বয়স জানুয়ারিতে ছয় বছরের বেশি হতে হবে। এবারও স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের ৫৯ শতাংশ কোটা রাখার প্রস্তাব আছে। এর মধ্যে আছে ‘এলাকা’, ‘সরকারি প্রাইমারি স্কুল’, ‘মুক্তিযোদ্ধা’, ‘প্রতিবন্ধী’ ও ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী’ কোটা। গণভবন উচ্চবিদ্যালয়ে আলাদাভাবে ২ শতাংশ কোটা গণভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। কোনো প্রতিষ্ঠানে আপন ভাই বা বোন পড়লে তার অনুজ ভর্তিতে অগ্রাধিকার পাবে; তবে ভর্তির শর্ত পূরণ করতে হবে। কোটায় ভর্তিচ্ছুদেরকে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরদিন সকাল ১০টায় উপস্থিত হয়ে প্রমাণ দাখিল করতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলে।

ভর্তি ফরমের দাম এবারও ১৭০ টাকাই থাকছে। আবেদন কার্যক্রম পরিচালিত হবে টেলিটকের মাধ্যমে। এজন্য টেলিটকের gsa.teletalk.com.bd শীর্ষক ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্য মাউশি (www.dshe.gov.bd) এবং টেলিটকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest