ঢাকা ৫ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:১৫ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২০
পরিমল চন্দ্র বসুনিয়া(হাতীবান্ধা)লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
ভারত থেকে অবৈধ পথে মামাত বোনকে ভাগিয়ে এনে গোপনে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে সাদ্দাম হোসেন নামে এক বাংলাদেশী যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সাদ্দাম হোসেন ও তার মামাত বোনকে খুঁজে বের করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামে।
সাদ্দাম হোসেন ওই এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে। গত শনিবার রাতে তার মামাত বোন ভারতীয় ওই তরুণীরকে গোপনে বিয়ে করেন সাদ্দাম হোসেন।
জানা যায়, গত তিনদিন আগে সাদ্দাম হোসেন ও তার বড় ভাই ফল ব্যবসায়ী সাজাহান মিয়া তাদের মামাত বোন ওই ভারতীয় তরুণীকে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। গত শনিবার রাতে ভারতীয় ওই তরুণীর সাথে সাদ্দাম হোসেনের গোপনে বিয়েও হয়। এরই মধ্যে অবৈধ পথে ভারতীয় তরুণীর বাংলাদেশে আসার খবরের সত্যতা জানতে পাটগ্রামের ইউএনও মশিউর রহমান স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বাবলুকে দায়িত্ব দেন। এরমধ্যে ভারতীয় তরুণী ও যুবক সাদ্দামকে অন্যত্র ভাগিয়ে দেয়া হয়। পরে অন্য এক স্থানে নিয়ে গিয়ে গোপনে বিয়ে পড়ান জনৈক এক কাজী। বিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানেও অভিযান চালায়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে ওই স্থান থেকেও সটকে পড়েন তারা।
বাউরা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মিজানুর রহমান বাবলু বলেন, ইউএনও’র ফোন পেয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে পাই। কিন্তু আমি ওই বাড়িতে যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি ইউএনও স্যারকে অবগত করি।
পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত বলেন, বাংলাদেশী এক যুবকের সাথে তার মামাত বোন ভারতীয় এক তরুণীর বিয়ে হচ্ছে- এমন খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়। কিন্তু ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
পাটগ্রামের ইউএনও মশিউর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি পাটগ্রাম উপজেলায় ভারতীয় তরুণীর সাথে স্থানীয় এক যুবকের বিয়ে হচ্ছে। পরে সেখানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতাও জানতে পারি। পরে পুলিশ গেলে তারা পালিয়ে যায়।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST