নবাবগঞ্জে গুচ্ছগ্রামের ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০১৯

মোঃ হাসিম উদ্দিন নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বানমারী গুচ্ছগ্রামের ভূমিহীনদের মাঝে ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার ভূমিহীনরা। তাদের অভিযোগ মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রহিম বাদশা ঘর বরাদ্দের নামে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি ঘর বরাদ্দে কোন অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়নি। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মশিউর রহমান বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে। বানমারী গ্রামের বাসিন্দারা জানান, উপজেলার ৮ নং মাহমুদ ইউনিয়নের বানমারী এলাকার একটি পুকুরপাড়ে নিজের সাধ্যমত মাটি ও বেড়ার ঘর বানিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন ৩৫ টি ভূমিহীন পরিবার। নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে সরকার ওই বানমারী গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় ৫০ টি ঘর নির্মান করেন। প্রতিটি ঘর নির্মানের ব্যয় হয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বানমারী গ্রামের বাসিন্দা স্মৃতি হেমরন, বাহামনি সরেন, প্রদিপ মার্ড্ডি, খোতেজা বেগম, নিলুফা বেগম, আব্দুল মমিন, মানিক মূমূসহ ১৫ জন ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন, বানমারী গুচ্ছগ্রামে ঘর নির্মান কাজ শেষ হওয়ার আগেই ইউপি চেয়ারম্যান রহিম বাদশা অন্য এলাকার মানুষদের অর্থের বিনিময়ে কিছু ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন। যারা চাহিদামত অর্থ দিতে পারেননি- তাদের ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়নি। দালালদের মাধ্যমে অর্থ আদায় করে বহিরাগতদের ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন। তারা প্রতিবাদ করলে দালাল রেজাউল, রাম পাল, আলতাব হোসেন, মাহা আলম ও দবিরুল ইসলাম তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। ইউপি চেয়ারম্যান রহিম বাদশা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ঘর বরাদ্দে কোন অর্থ নেয়া হয়নি। নিয়মনীতি মেনেই ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছেন। নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মশিউর রহমান বলেন, ঘর বরাদ্দে বিয়ষটি আমলে নিয়ে আমরা তদন্ত করেছি। তবে সেখানে কোন অনিয়ম বা অর্থ আদায়ের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে দুই সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস থাকায় ঘর বরাদ্দে কিছুটি সমস্যা ছিল। সরেজমিন গিয়ে তা সমাধান করা হয়েছে।


মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest