বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরিক সম্পর্ক! বিয়ে অতঃপর ডিভোর্সের হুমকি মর্মে থানায় অভিযোগ।

প্রকাশিত: ৯:০৯ অপরাহ্ণ, জুন ৯, ২০২০

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরিক সম্পর্ক! বিয়ে অতঃপর ডিভোর্সের হুমকি মর্মে থানায় অভিযোগ।

হারুন অর রশিদ(রিয়াদ) জলঢাকা(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

নীলফামারী জলঢাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরিক সম্পর্ক অতঃপর বিয়ে হওয়ার একদিন পর নববধূকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করছে শ্বশুরালয়ের লোকজন মর্মে থানায় অভিযোগ।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর বেরুবন্দ গ্রামে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উত্তর বেরুবন্দ গ্রামের জগেন্দ্র চন্দ্র রায়ের কন্যা শ্রী মতি রিক্তা রানী রায় বিভিন্ন কাজে জলঢাকায় যাতায়াত কালে পূর্ব বালাগ্রাম এলাকার মৃত শচিন্দ্র নাথ রায়ের পুত্র দুন্দিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথান শিক্ষক অনিল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এক পর্যায়ে সে সম্পর্ক শারিরিক সম্পর্কে রুপ নেয়।

নববধু রিক্তা রানী রায় গনমাধ্যমে অভিযোগ করে বলেন,দীর্ঘদিন শারিরিক সম্পর্ক স্থাপনের পর আমাকে বিবাহ না করার জন্য যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। এতে আমার সন্দেহ হলে আমি বিয়ের চাপ দেই। এরই ধারাবাহিগতায় গত ৮ই জুন দুপুর ২টায় অজ্ঞাতনামা দুইজন লোককে নিয়ে আমার পিত্রালয়ে আসেন অনিল চন্দ্র রায়। পরে বিবাহ রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয় এবং ধর্মিয় রীতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়। রাতের খাওয়া শেষে অজ্ঞাতনামা লোক দু’জন চলে যাওয়ার পর আমার শ্বশুড়ালয়ের লোকজন মুঠোফোনে ও শ্ব-শরীরে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। ডিভোর্স না দিলে খুন ও জখম করবে বলে হুমকি প্রদর্শন করছে।

রিক্তা রানী রায় জানান, তাদের হুমকিতে আমি বর্তমানে ভীত ও সংকিত হয়ে জীবন যাপন করছি।এ বিষয়ে সনাতন সম্প্রদায়ের নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার কাজি বিকাশ চন্দ্র রায় জানান, ধর্মীয় ও সরকারী মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত অনিল চন্দ্র রায়ের মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে উভয় পক্ষই থানায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নিবো।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest