ঢাকা ৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২০
মোঃ হাসিম উদ্দিন বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রেমিকের দেয়া মোবাইল নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গলায় থাকা ওড়না দিয়ে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া নিজ মেয়েকে হত্যা করেছে আপন ‘মা’। এই ঘটনায় এলাকাবাসির সহায়তায় ঘাতক মাকে আটক করেছে থানাপুলিশ। রবিবার গভীর রাতে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিনোদনগর ইউনিয়নের বড়মাগুড়াগ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ঘাতক মোছা.রহিমা বেগম (৪৩) উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের বড়মাগুরা গ্রামের মো.বুলু মিয়ার স্ত্রী। নিহত মেয়ে মোছা.ফাতেমা (১৩) ওই এলাকার বিনোদনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অশোক কুমার চৌহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বিনোদনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন বলেন,‘উপজেলার বড়মাগুরা গ্রামের মো.বুলুমিয়ার স্ত্রী মোছা.রহিমা বেগম গত ১ সপ্তাহ আগে একই ইউনিয়নের পাঠানগঞ্জ গ্রামে মেয়ে ফাতেমাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে গত তিন দিন আগে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। গতকাল রবিবার সকালে বাড়ির পাশে আমগাছ থেকে আম নামানোর সময় মেয়ে ফাতেমার কোমরে একটি (স্কিনটাচ) মোবাইল দেখতে পায় মা রহিমা বেগম। পরে মেয়েকে মোবাইলের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়ে ফাতেমা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
চেয়ারম্যান বলেন,‘ ঘটনার পর ‘মা’ ওই মোবাইল ফোনটি নিয়ে ঘরের সোকেসে তালাবদ্ধ করে পাশে গ্রামে বড় মেয়ের বাড়িতে চলে যান। এরপর বিকেল বেলা মেয়ের বাড়ি থেকে ফিরে সোকেসের তালা ভাঙ্গাদেখে মেয়ে ফাতেমাকে আবারো জিঙ্গেস করলে সে কোন প্রতি্যুত্তর করেননি। এরপর মা ও মেয়ের মাঝে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মেয়ের গলায় থাকা ওড়না দিয়ে টান দেয় মা। পরে সেখানেই মেয়ে ফাতেমা মারাযায়।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অশোক কুমার চৌহান বলেন,‘ এলাকাবাসির দেয়া খবরে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রাত ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার এবং ঘাতক ‘মা’ রহিমা বেগমকে আটক করে থানায় আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজ মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
ওসি বলেন,‘রাতেই মেয়ের চাচা মো.আলম হোসেন বাদি হয়ে মা রহিমা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মেয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক ‘মা’ রহিমাবেগমকে দিনাজপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এলাকার কোন ছেলে ওই মেয়েটিকে মোবাইল ফোনটি দিয়েছে সেই বিষয়ে খোঁজ খরব নেয়া হচ্ছে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST